আবর্জনা থেকে পোশাক: পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে নাইজেরিয়ায় অভিনব ফ্যাশন শো
জলবায়ু রক্ষা ও পরিবেশকে দূষণের বিরুদ্ধে দেশে দেশে অ্যাকটিভিস্টরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার জলবায়ু নিয়ে কাজ করা কিশোর বয়সী কর্মীরা সেই ধারায় আয়োজন করছে এক অভিনব ফ্যাশন শোয়ের।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্যাশন শো'র রানওয়েতে পরার জন্য তারা ট্র্যাশ বা আবর্জনার রিসাইক্লিং (পুনর্ব্যবহার) করে পোশাক বানিয়েছে। তাই ফ্যাশন নয়, তাদের মতে, এটি হলো 'ট্র্যাশন শো'।
এসব কিশোর ও তরুণ অ্যাকটিভিস্টদের সাথে কাজ করা সংগঠন গ্রিনফিঙ্গারস ওয়াইল্ডলাইফ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা চিনেদু মোগবো বলেন, পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই ফ্যাশন শো-টির আয়োজন করা হয়েছে।
আফ্রিকার অন্যতম জনবহুল এবং নাইজেরিয়ার সর্ববৃহৎ শহর লাগোসে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি লোকের বাস, যারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১২,০০০ মেট্রিক টন বর্জ্য তৈরি করে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, দূষণের কারণে প্রতি বছর এই শহরে অন্তত ৩০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
মিশরে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক আলোচনার দুই সপ্তাহের মধ্যেই এবারের ফ্যাশন শোটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রীনফিঙ্গারস ওয়াইল্ডলাইফ ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে, তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট এবং মডেলদের সহযোগিতায় তারা যত বেশি সম্ভব প্লাস্টিক রিসাইকল করতে প্রস্তুত।
তাদের কম্যুনিটি নিয়মিত বিভিন্ন পয়োঃনালা এবং সমুদ্র সৈকত থেকে আবর্জনা নিষ্কাশনের আয়োজন করে থাকে। এরপর প্লাস্টিক লিটার ব্যবহার করে ফ্যাশন শোয়ের জন্য কাপড় তৈরী করা হয়।
ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন ১৬ বছরের নেথানিয়েল এডেগওয়া।
লাল প্লাস্টিকের চামচ এবং ফ্যাব্রিকে রানওয়েতে হাঁটা এই কিশোরী বলেন, 'পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে' মডেল হিসেবে এ বছরের ফ্যাশন শো-য়ে অংশ নিয়েছেন তিনি।
"জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, আমি তাই সত্যিই চাই এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটুক", বলেন নেথানিয়েল।