তিনতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়লেন খালে! 'নির্বোধ' সেই পর্যটককে খুঁজছে ভেনিস পুলিশ
ইতালির ভেনিসে একটি তিনতলা ভবন থেকে খালে লাফিয়ে পড়া জনৈক ব্যক্তিকে ধরার জন্য খুঁজছে নগর কর্তৃপক্ষ। ভেনিসের মেয়র জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি এবং তার যে সহকারী ভিডিও করেছেন তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হবে, খবর সিএনএন এর।
ভেনিসের মেয়র লুইজি ব্রুজনারো টুইটারে একটি পোস্টে ওই ব্যক্তিকে 'গর্দভ' আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ধরনের নির্বুদ্ধিতার জন্য তাকে 'নির্বোধের সার্টিফিকেট এবং অনেকগুলো লাথি' দেওয়া হবে!
বলে রাখা ভালো, ইতোমধ্যেই ওই ব্যক্তির লাফিয়ে পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে এটি কোনো দুর্ঘটনা বা অসাবধানতাবশত হয়নি; বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্যই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বক্সার শর্টস পরে একটি ভবনের ছাদ থেকে খালে লাফিয়ে পড়ছেন ওই ব্যক্তি।
মেয়র ব্রুজনারো বলেন, "আমরা ওই ব্যক্তিকে এবং বেকুবের মতো এই ভিডিও ধারণকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।" সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, কিভাবে ঐ ব্যক্তি একটি আবাসিক ভবনে প্রবেশ করলো এবং ছাদে উঠলো তা খতিয়ে দেখার জন্যও তিনি পুলিশ নিযুক্ত করেছেন।
ভেনিসের মেয়রের ভাষ্যে, "ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছেন তো বটেই, সেই সঙ্গে তিনি একজন অপরাধীও। এ ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে তারা শহরের ওপর যে ঝুঁকি তৈরি করছেন তা তারা বুঝতে পারছেন না। তিনি যে লাফিয়ে পড়লেন, তখন নিচ দিয়ে একটা নৌকা যেতে থাকলে কি বিপদটাই না হতো?"
ব্রুজনারো এই অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি লাইক না দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
"তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লাইকের জন্য এরকম নির্বোধের মতো কাজ করে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো", বলেন মেয়র।
সম্প্রতি ইতালিতে এ ধরনের কর্মকান্ডের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে- বিশেষ করে ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের মধ্যে। খালে লাফিয়ে পড়া ব্যক্তিকেও একজন পর্যটক হিসেবেই উল্লেখ করেছেন মেয়র।
গত বছর ভেনিসের খালগুলোতে সাঁতার কাটার জন্য (কখনো কখনো নগ্ন হয়ে) প্রায় ৪০ জন পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় গ্র্যান্ড ক্যানালে সার্ফিং করতে নামার জন্য।
এদিকে, রোমের স্প্যানিশ স্টেপসে নিজের স্কুটার ছুঁড়ে ফেলার অপরাধে এক আমেরিকান পর্যটককে ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। আরেক সৌদি পর্যটককে স্প্যানিশ স্টেপসে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা করা হয়। ফ্লোরেন্স এবং পম্পেইয়ের ধ্বংসাবশেষেও এ ধরনের বেআইনি কাজ করেছেন একাধিক পর্যটক। এমনকি ভ্যাটিকান জাদুঘরে ভাস্কর্যও ভেঙে ফেলেছেন কিছু পর্যটক।