‘ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে’: কুমিল্লা বোর্ডের এইচএসসি’র প্রশ্ন নিয়ে কৌতুক-মিম
কুমিল্লা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) বাংলা প্রথম পত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন নেটিজেনদের হাসির খোরাক জুটিয়েছে। ওই প্রশ্ন নিয়ে কৌতুক ও মিম তৈরি করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়ার লেখা 'ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে' শীর্ষক একটি গানের কয়েকটি লাইন থেকে উদ্দীপকটি তৈরি করা হয়েছে।
উদ্দীপকের 'গ' নং প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে: "উদ্দীপকের 'হাঁস' ও 'বাগডাশে'র সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের কোন চরিত্রের মিল দেখা যায় এবং কীভাবে তা সাদৃশ্যপূর্ণ?"
অন্যদিক 'ঘ' নং প্রশ্নে বলা হয়েছে: ""জমিদার, মুৎসুদ্দি শ্রেণির বিলোপ হলেও আধুনিক পির প্রথা সেই স্থান দখল করে নিয়েছে।"—বক্তব্যটি উদ্দীপক ও 'লালসালু' উপন্যাস অবলম্বনে বিচার কর।"
ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে একটি বাংলা প্রবচন। এর অর্থ সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত ধন যে অর্জন করেনি সে ভোগ করে। বাংলায় এ প্রায় একই অর্থের আরেকটি প্রবাদ হলো, 'যার ধন তার ধন নয়, নেপোয় মারে দই'।
নেটিজেনরা গানটি নিয়ে যেমন মিম বানাচ্ছেন, তেমনি এসব মিমের সঙ্গে অনেক ছবিও জুড়ে দিচ্ছেন। অনেকে তৈরি করছেন রিলও। প্রশ্নটি নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক — দুই ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বাগডাশ কীভাবে ডিম খায় তা কুমিল্লা বোর্ডের কাছে জানার আবদার করেছে 'বেলা বোস' নামক একটি ফেসবুক পেজ। সেই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে একটি খুশির (ক্ষেত্রবিশেষে অভিমানের) ইমোটিকনও।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কুমিল্লা বোর্ডের এমন 'চাতুর্যপূর্ণ' প্রশ্নে যারপরনাই আনন্দ ও গর্ব বোধ করেছেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন: 'কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী হয়ে আমি গর্বিত।' এমন প্রশ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ ধরনের চিন্তাশীল প্রশ্ন সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরিতে উৎসাহব্যঞ্জক।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালু উপন্যাসের সঙ্গে সংযোগ রেখে প্রশ্নটি তৈরি করা হয়েছে।