তিন দশক পর ইরাকে প্রদর্শিত গিলগামেশ ড্রিম ট্যাবলেট
তিন দশক পর প্রথমবারের মতো ইরাকে প্রদর্শিত হলো সাড়ে তিন হাজার বছর পুরনো গিলগামেশ ড্রিম ট্যাবলেটটি।
কাদামাটির ফলকটিতে গিলগামেশ মহাকাব্যের কিছু অংশ খনন করা। বিশ্বের প্রাচীনতম সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে একটি এই মহাকাব্য।
১৯৯১ সালে গালফ যুদ্ধের সময় একটি ইরাকি যাদুঘর থেকে লুট করা হয় এই ফলকটি। ওয়াশিংটন ডিসির মিউজিয়াম অব দ্য বাইবেল জাদুঘরে সংরক্ষিত হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি দেশে পাচার করা হয় এটি।
২০১৯ সালে ইরাকি দূতাবাসে ফলকটি হস্তান্তর করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের মতে, গত এক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান এবং নেদারল্যান্ডস থেকে ইরাকের উদ্ধারকৃত ১৭ হাজার ৯২৬টি প্রত্নবস্তুর মধ্যে একটি এটি।
সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি মন্ত্রী হাসান নাজিম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গিলগামেশ ড্রিম ট্যাবলেটটি 'মহাগুরুত্বপূর্ণ' ছিল এবং এটিকে 'ইরাকের ইতিহাসের প্রাচীনতম সাহিত্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৮৫৩ সালে মহাকাব্যটি আবিষ্কৃত হয়। উত্তর ইরাকের অ্যাসিরিয়ান রাজা আশুরবানিপালের লাইব্রেরির ধ্বংসাবশেষে এই কবিতার ১২টি ফলক পাওয়া যায়।
আক্কাডিয়ান ভাষায় কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা ট্যাবলেটটিতে গিলগামেশের মহাকাব্যের একটি অংশ রয়েছে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় এই লিপি প্রচলিত ছিল।
২৮০০ থেকে ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বে উরুক শাসন করা রাজা গিলগামেশের উপর ভিত্তি করে রচিত এই পৌরাণিক মহাকাব্য। প্রদর্শিত হওয়া ফলকে গিলগামেশের স্বপ্নের বর্ণনা উল্লেখিত আছে।
- সূত্র- বিবিসি