মিনিটে ৫৩ লিটার জ্বালানি লাগে যাত্রীবাহী বিমানে!
কোনো নতুন ব্র্যান্ডের বাইক বা গাড়ি কিনতে গেলে আমাদের মাথায় একটা প্রশ্নই ঘোরে, বাইক বা গাড়িটা এক লিটার জ্বালানিতে কতটা মাইলেজ দেয়।
আমাদের গাড়ি বা বাইকের মাইলেজ নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, সেভাবে কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি বিমানের মাইলেজ কত হতে পারে? হয়তো না। ভাবার প্রয়োজনও পড়ে না আসলে। কারণ বিমানে যাতায়াত করলে ভাড়া নিয়েই মাথা ঘামাই আমরা। জ্বালানি কতটা পুড়ল, এক লিটার জ্বালানিতে প্লেন কতদূর গেল তা নিয়ে আমজনতা মাথাব্যথা নেই।
কিন্তু তবুও অনুসন্ধিৎসু মন প্রশ্ন করতেই পারে। বাইক বা গাড়ির মাইলেজ নিয়ে যখন ভাবেন, তখন বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে নাহয় একটু জেনেই নিলেন।
আমরা জানি, বেশির ভাগ বা গাড়ি এক লিটারে ৩০ থেকে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। কিন্তু গাড়ি যত বড় হবে তার জ্বালানি খরচও তত বেশি হবে। ফলে মাইলেজও কমবে।
যেমন, বোয়িং ৭৪৭ বিমানে প্রতি সেকেন্ডে ৪ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ এক মিনিট উড়লে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় এই বিমানের। বোয়িং-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৭৪৭ বিমানে প্রতি কিলোমিটারে ১২ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ ১ লিটার জ্বালানিতে ০.৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই বিমান। সেই হিসেবে ১২ ঘণ্টার সফরে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়।
বোয়িং বিমানে কমপক্ষে ৫০০ যাত্রী ধরে। ঘণ্টায় ৯০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে এটি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশির ভাগ বিমানে ঘণ্টায় ৩২০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়।
- সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা