বিলিয়নিয়ারদের জন্য ‘বেদনাদায়ক’ সপ্তাহ: বেজোস হারিয়েছেন ২০ বিলিয়ন ডলার
করোনা মহামারির প্রভাবে পৃথিবীতে বেড়েছে ধনী-গরিবের ব্যবধান। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় চাকরি হারিয়ে বিশ্বে আরও ১৬০ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের শিকার হলেও বিশ্বের সেরা ১০ ধনীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে, সামনের দিনগুলোতে অক্সফাম ধনী-গরিবের এই ব্যবধান আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিলেও, ব্লুমবার্গ ওয়েলথ ইনডেক্স হাজির হয়েছে ধনীদের সম্পদ কমার খবর নিয়ে।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গেল সপ্তাহে জেফ বেজোসের সম্পদ কমেছে কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ডলার; বিনান্সের চ্যাংপেং ঝাও'র ১৭.৭ বিলিয়ন ডলার এবং ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সম্পদ কমেছে ১০.৪ বিলিয়ন ডলার।
বিলিয়নিয়ারদের জন্য সপ্তাহটিকে 'বেদনাদায়ক' বলে উল্লেখ করেছে ব্লুমবার্গ ওয়েলথ ইনডেক্স। ই-কমার্স থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অনলাইন গেমিং সবকিছুতে বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে। মহামারির প্রভাব এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর আভাস বাজার পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য কমে যাওয়ায় বিলিয়নিয়াররা পড়েছেন সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে। গত ছয়মাসে বিটকয়েন দর ছিল সবচেয়ে কম এবং অন্যান্য ডিজিটাল সম্পদের মূল্যও কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সংস্থা বিনান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাও এখন সাকুল্যে ৭৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। অন্যদিকে, এ সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদ ২৫.১ বিলিয়ন ডলার বা মোট সম্পদের ৯ শতাংশ কমেছে।
জানা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে কেবল ফ্রান্সের ফ্যাশন মোগল বার্নার্ড আর্নল্টই এই সপ্তাহের ক্ষতি এড়াতে পেরেছেন। ব্লুমবার্গ সূচকে মাস্ক ও বেজোসের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ