চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়ার সময়সীমা বাড়ল
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ ঋণ সুবিধা ফের বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অগ্রিম জমা অর্থাৎ কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট ছাড়াই আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা আগের বছরের অপরিশোধিত ঋণের ৩ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৩ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করার সুযোগ পাবেন।
তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে (কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়/প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্যানারি শিল্পসহ চামড়া খাতের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প) প্রতি বছর তফসিলি ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে থাকে।
চামড়া শিল্পে বিরাজমান সমস্যাসহ কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাবজনিত কারণে ২০২০ সালে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের জন্য দেওয়া ঋণের কিছু অংশ অনাদায়ী রয়েছে বলে জানা গেছে। তারপরও ২০২১ সালের কোরবানির পশুর চামড়া কেনার জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, দেশীয় চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক জোগান আসে প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া থেকে। এ সময় চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিশ্চিত করা গেলে একদিকে যেমন মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।
সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার ঋণের অপরিশোধিত অর্থের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে স্টক বা সহায়ক জামানত থাকা সাপেক্ষে ওই অপরিশোধিত অর্থের ৩ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে সর্বোচ্চ ৩ তিন বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করতে পারবে।
এছাড়া ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে ২০২১ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে নতুন ঋণ দেওয়ার সময় কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায় করা যাবে না বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
সার্কুলারের নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সুবিধাটি চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।