লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি চামড়া সংগ্রহ হয়েছে চট্টগ্রামে
চট্টগ্রামে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেড়েছে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ।
চলতি বছরে চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলা মিলিয়ে ৩.৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৩.৬১ লাখ পিস। এসব কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর জেলা-উপজেলায় লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত বছর চট্টগ্রামে ৩.১৯ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২২ সালে সংগ্রহ হয়েছিল ৩.৪৩ লাখ পিস।
তবে এবারে চামড়া বিক্রি হয়েছে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে কম দামে। এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মৌসুমি চমড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, "সরকারের নির্ধারিত দামে এবার চামড়া কেনেন নি আড়তদাররা। সরকারের নজরদারি না থাকায় নামমাত্র মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে।"
পটিয়া এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ী আব্দুল হক জানান, আড়তদাররা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া না কেনায় লোকসানে চামড়া বিক্রি করেছেন তিনি।
তবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী-আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, "এবার চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার ছোট আকারের চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৫০০-৬০০ টাকা এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৭০০-৯০০ টাকা দরে কিনেছেন আড়তদাররা।"
চামড়া আড়তদার সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, "একটি চামড়ায় লবণ, শ্রমিক, পরিবহন ও গুদাম খরচ মিলে ৩২০ টাকা ব্যয় হয়। ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে এই খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৫০০ তে। এছাড়াও বিক্রির সময় ১৫-২০ শতাংশ চামড়া বাদ দেন ট্যানারি মালিকেরা।"
তিনি বলেন, "২০১৫-২০১৮ সালের প্রায় ২৫ কোটি টাকা এখনো ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে আটকে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত লোকসান গুনে বেশিরভাগ আড়তদার ও ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।"
আড়তদার সমিতির তথ্যমতে, এবার সংগ্রহ করা চামড়ার মধ্যে গরুর চামড়া ২ লাখ ৯৭ হাজার ১৫০ পিস, মহিষের চামড়া ১২ হাজার ২০০ পিস এবং ছাগলের চামড়া ৫১ হাজার ৬০০ পিস।