নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের জন্য ইসলামী ব্যাংকগুলোর ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনঃঅর্থায়নের ঋণ এখন ইসলামী ব্যাংকগুলোও দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের বিষয়ে নতুন সার্কুলার জারি করেছে। এতে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) সুদহার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ খাতে অর্থায়নে আগ্রহী তফসিলি ব্যাংক ও এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে যারা ইতোঃপূর্বে চুক্তি সম্পাদন করেছে তাদের প্রয়োজন নেই; নতুনদের ক্ষেত্রে এ চুক্তির শর্ত কার্যকর।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তিন হাজার কোটি টাকার এ স্কিম থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) বা এনজিও মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদী এ স্কিমের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ।
ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ ঋণ নীতিমালা অনুসরণ করে এ স্কিমের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারবে।
এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন তিনটি ব্যাংক থেকে অর্থ নিতে পারতো। এখন পাঁচটি ব্যাংক থেকে এ স্কিমের আওতায় অর্থ নিতে পারবে। স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে শুধু তিন বছর বলা হয়েছিল।
স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে দশমিক পাঁচ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিবে। আগে এক শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিতো। আর অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে ৩ শতাংশ সুদে অর্থ দিবে। আগে ছিল সাড়ে তিন শতাংশ।
একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ জনের সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারবে।
এদিকে ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে তিন মাস। একইসঙ্গে উদ্যোক্তা ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে ছয় মাস।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ খাতে তিন হাজার কোটি টাকার স্কিম গঠন করে। চলতি বছরের ৩০ জুন স্কিমের প্রথম দফা বাস্তবায়ন শেষ হয়। দ্বিতীয় দফা বাস্তবায়ন ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে।