পিপিপিতে আগ্রহ নেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর
সরকারি বেসরকারি অংশিদারত্বে (পিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো চাহিদা পূরণ করতে দেশীয় উৎস থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ১৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার পর গত পাঁচ বছরে মাত্র একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড (বিআইএফএফ)।
জামানত সংকটসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়ন করা থেকে বিরত রয়েছে, যা পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায় বলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ।
২০০৯-২০১০ অর্থবছর দেশে প্রথমবারের মতো পিপিপির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭৯টি প্রকল্প চূড়ান্ত করে সরকার, যা বাস্তবায়ন করতে ২৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৪,০৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে, যেখানে সরকারের নিজস্ব তহবিল ৮১৮১ কোটি টাকা। আর একমাত্র দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফএফ ঢাকা বাইপাস প্রকল্পে ১০৭৫ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। বাকি অর্থায়ন হবে বিদেশি উৎস থেকে।
২০১৬ সালে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত বাকি ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করেনি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেছেন, এসব সমঝোতা চুক্তি পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়ন সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারেনি।
তার মতে, ব্যাংকগুলো জামানত ছাড়া ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু এসব প্রকল্পের সরকারি জমি ব্যাংকে জামানত রাখারও সুযোগ নেই। ব্যাংকগুলো অনেক সময় প্রকল্প পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি চায়, যা বাস্তবায়ন করাও সম্ভব নয়।
এছাড়া, পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদে আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর অনীহা, সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিটকেও বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ব্যাংকাররা জানান, জামানত জনিত জটিলতা ছাড়াও পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি। তাছাড়া দেশীয় যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতির কারণেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়নে অনীহা প্রকাশ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, "বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে আমরা ৫-৭ বছর মেয়াদে অর্থায়ন করে থাকি। সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ওপর ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু পিপিপি প্রকল্পগুলো ১৫-২০ বছর ধরে বাস্তবায়ন হয়, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অনেক সংস্থা সম্পৃক্ত থাকে, যাদের উপর ব্যাংকের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদে বড় অংকের ঋণ দেওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য খুবই ঝূঁকিপূর্ণ।"
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থানা পরিচালক মাহবুবুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সরকারের অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থায়ন করা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে প্রাতিষ্ঠানিক তহবিল নিশ্চিত করতে হবে। আর ব্যাংকগুলো থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হলে সরকারের গ্যারান্টির প্রয়োজন হবে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে পিপিপিকে 'নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস' নামে অভিহিত করে পরের পাঁচ বছরে ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা পিপিপি উদ্যোগ থেকে পাওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে না পারায় সে আশা পূরণ হয়নি।
এর এক যুগ পর বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও স্বীকার করেছেন সেটি। গত সপ্তাহে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, 'পিপিপি কনসেপ্ট আমরা এখনও ভালোভাবে নিতে পারিনি, এটা সত্য। তারপরও কাজ শুরু হয়েছে। যৌথভাবে শুরু করার জন্য সময় দিতে হবে।'
গত জুন মাসে আফরোজা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, দেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের অনাগ্রহ পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা। আইন সংশোধন করে পিপিপি প্রকল্পে যে কোন পরিমাণ অর্থ, এমনকি পুরো প্রকল্প ব্যয় ঋণদানের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশও করেছেন পিপিপি সিইও।
এছাড়া, পিপিপি প্রকল্পের বিকাশের স্বার্থে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ, বন্ড মার্কেট বিকাশে নতুন গাইডলাইন, সরকারের পেনশন বা ইন্স্যুরেন্স ফান্ড থেকে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের মাধ্যমে চাওয়া হয়েছে বিনিয়োগের সুবিধা।
তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, লাভজনক প্রকল্প প্রণয়ন করে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পিপিপি ভিত্তিতেও বিনিয়োগ করতে চাইবে। তা ছাড়া ভালোভাবে পিপিপি প্রকল্প ডিজাইন করে রিস্ক শেয়ার করতে পারলে বিদেশ থেকেও বিনিয়োগ আসবে। এক্ষেত্রে সরকার ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
এছাড়া, এলসি খোলার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পমেয়াদে ঋণ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেশের বন্ড মার্কেট কিংবা বিদেশের বন্ডমার্কেট থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
চিঠিতে পিপিপি কর্তৃপক্ষ বলেছে, পিপিপি প্রকল্পের বেসরকারি সহযোগি কোম্পানি গঠন ও পরিচালন করে। এ সব কোম্পানির মূলধন হচ্ছে নিজস্ব ইকুইটি এবং প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা ঋণ। এ সব কোম্পানির ইকুইটিতে অনেক সময় ঋণের পরিমাণ ৮০ শতাংশও ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
'পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং বিশ্বব্যাপী কার্যকরভাবে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে প্রকল্প কোম্পানিকে বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থা থেকে এ পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যার কারণে প্রকল্পে অর্থায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে'- বলা হয় ওই চিঠিতে।
জামানত সংক্রান্ত জটিলতা তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং এর ঋণে ব্যাংক ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান বা এর পরিচালকদের সম্পদ জামানত হিসেবে নিতে পারে না। তা ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের পর উদ্যোক্তারা প্রকল্পের নামে যে কোম্পানি গঠন করেন সে কোম্পানিরও জামানত হিসেবে দেয়ার মত কোন সম্পদ থাকে না। সরকারের মালিকানায় থাকার কারণে প্রকল্পের জমিও জামানত হিসেবে রাখার কোন সুযোগ নেই।
'দেশীয় ব্যাংকগুলো বিনা জামানতে ঋণ দানে অভ্যস্ত না হওয়ায় তারা প্রজেক্ট ফ্যাইন্যান্সিংয়ে ক্যাশ ফ্লো এর ওপর নির্ভর করে ঋণ দিতে চায় না। তারা মানতে চায় না যে, প্রকল্প কোম্পানির নিজস্ব কোন সম্পদ থাকে না আর প্রকল্পের আওতায় সরকারের জমিও বন্ধক রাখা যায় না। অনেক সময় ব্যাংকগুলো কোম্পানির শেয়াহোল্ডারদের ব্যক্তিগত সম্পদ গ্যারান্টি হিসেবে চায়, যার সঙ্গে প্রচলিত প্রজেক্ট ফাইন্যান্স পদ্ধতির সঙ্গে মিল নেই।'
পিপিপি প্রকল্পের বিকাশের স্বার্থে আধুনিক ও নতুন ধারার ব্যাংকিং পদ্ধতির তির প্রচলন করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের কাছে লেখা চিঠিতে পিপিপি কর্তৃপক্ষ বলেছে, কম সুদে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি একক ঋণ প্রদানের সক্ষমতা সম্বলিত নতুন ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন।
এছাড়া, বন্ড মার্কেট এবং প্রাইভেট ইকুয়িটি বিকাশে নতুন গাইডলাইন প্রনয়নের সুপারিশ করেছে। সরকারের পেনশন ফান্ড বা ইন্স্যুরেন্স ফান্ড থেকে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের মাধ্যমে পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগের সুবিধা চেয়েছে পিপিপি অফিস। প্রয়োজনে পিপিপি প্রকল্পের জন্য রিফাইন্যান্সিং স্কিম চালু বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জণ্য প্রনোদনার সুপারিশ করা হয়েছে।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অবকাঠামো খাতে প্রতি বছর ১২.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর মধ্যে পিপিপি প্রকল্প থেকে বছরে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এর বাইরে এসডিজি অর্জনের জন্য প্রতি বছর অবকাঠামো খাতে আরও ৫.৫ শতাংশ অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
পিপিপির আওতায় এখন পর্যন্ত ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে স্থাপন করা দুইটি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মিরপুর টাউনশিপ, মোংলা বন্দরের দুইটি জেটি নির্মাণ, কেরাণিগঞ্জে ঝিলমিল এপার্টমেন্ট এবং ঢাকা বাইপাস সড়কের কাজ চলছে। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে বেশিরভাগ প্রকল্পের সম্ভাব্য বাস্তবায়ন সময়সীমা শেষ হলেও কোনো কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তুরষ্ক, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ আমদের প্রতিবেশি ভারত পিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ভারতে বর্তমাণে প্রায় ২৭৪ বিলিয়ন ডলারের ১১০৩ টি পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। ভারতের প্রধান প্রধান হাইওয়ে ছাড়াও দিল্লী ও মোম্বাই বিমানবন্দরও পিপিপির আওতায় বিল্ড, ওউন, অপারেট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য শুধু ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল নিয়ে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। ব্যাংক এসব প্রকল্পের এলসি খোলাসহ ২-৩ বছর মেয়াদে ফাইন্যান্স করতে পারে। প্রজেক্ট শেষ হলে তখন দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন দরকার হবে। সেজন্য সরকার গ্যারান্টেড বন্ড ছেড়ে দেশ থেকে কিংবা আইএফসি বা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশেও বন্ড ছেড়ে অর্থায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
পিপিপি প্রকল্পে বিদেশ থেকে ফান্ডিং পাওয়ার সুযোগ আছে। তবে এজন্য ভালোভাবে পিপিপি প্রজেক্ট ডিজাইন করে রিস্ক শেয়ার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা রয়েছে।
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জামানত জনিত জটিলতা দূর করতে অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সম্পন্ন হয়নি। এ আইন সংশোধন না করলে পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে জামানত সংশ্লিষ্ট কাটবে না।
তিনি বলেন, পিপিপি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না। পিপিপি প্রকল্পের জন্য এটি তুলে নেওয়া হবে বেসরকারি খাত তা প্যান্ডোরার বাক্স হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারে। বরং বড় অংকের অর্থায়নের জন্য সিন্ডিকেশন লোনের ব্যবস্থা করতে হবে।
জাহিদ হোসেন বলেন, "পিপিপি প্রকল্পে ফরেন অর্থায়নের ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য লাভজনক প্রকল্প ডিজাইন করতে হবে। বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলো যদি বিদেশ থেকে অর্থায়ন পেতে পারে, পিপিপি প্রকল্প কেন পাচ্ছে না? এক্ষেত্রে সরকার ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা কাটাতে হবে।"