বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে চীনের অর্ধেক খুচরা ব্যবসা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/03/20/the_empty_courtyard_of_the_usually_busy_sanlitun_shopping_mall_in_beijing_on_march_14._photographer_kevin_frayergetty_images.jpg)
পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত চীনের অর্ধেক ভোক্তাপণ্য কোম্পানি এখন করোনার কারণে নগদ অর্থ সংকটে, যার ফলে আগামী ৬ মাসের ভেতর খুচরা পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই অবস্থা দেশটির সরকারের ওপর করোনা প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গেই পুনরায় অর্থনীতি এবং ভোক্তা-চাহিদাকে গতিশীল করে তোলার চাপ বাড়াচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গের।
খুচরা পণ্য উৎপাদকেরা একা নয়, ভোক্তা পর্যায়ে নানা প্রকার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বরং আরও বেশি ঝুঁকির মুখে। রেস্তোরা ব্যবসা এর মাঝে অন্যতম।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ ক্রেতা ঘরের বাইরে না বেরোনোয় দেশটির ৬০ শতাংশ রেস্তোরা তাদের কর্মীদের বেতন এবং ভাড়া নিয়মিতভাবে দিতে পারছে না।
ব্যবসায়িক মন্দার দ্বিতীয় বড় কারণ হলো, স্থানীয় উৎস থেকে সংক্রমণ কমলেও দ্বিতীয় ধাক্কায় ফের এই সংখ্যা বাড়তে পারে; এই আশংকায় এখন পুরো চীনেই খুব কম মানুষ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন।
ফলে অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় আউটলেট বাড়িয়েও মুনাফা করতে পারছেনা স্টার বাকস এবং হাইডেলাও ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংয়ের মতো বৃহৎ রেস্টুরেন্ট চেইনগুলো।
ব্লুমবার্গ সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানিয়েছে, অলঙ্কার এবং পরিধেয় বস্ত্র উৎপাদনকারী শীর্ষ ৫০টি চীনা কোম্পানিও এই চক্র থেকে মুক্তি পায়নি।
এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে আগামী ছয় মাস ব্যবসা পরিচালনার খরচটাও নেই। এর মাঝে অর্থনীতি যদি স্বাভাবিক ভোক্তাচাহিদা তৈরি না করতে পারে, তাহলে এদের অস্তিত্বটাই পড়বে সংকটে।