বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে চীন
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি এখন মন্থর হয়ে পড়েছে। কমেছে কর্মসংস্থান এবং ভোক্তাচাহিদাও। তবে প্রথমেই করোনা মহামারির কবলে পড়া চীনে এই ধাক্কা অনেকটাই কেটে গেছে।
স্থানীয় ভোক্তাচাহিদার ওপর ভর করে দেশটির অর্থনীতিতে 'খুবই বিস্ময়কর' প্রবৃদ্ধি দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংক ডয়েচের প্রধান অর্থনীতিবীদ।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এখনও অনুভব করা যাচ্ছে কঠোর লকডাউনের ফলে সৃষ্ট শূন্যতার ফলাফল। জীবাণুর মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় থমকে গেছে লেনদেন, উৎপাদন আর সেবা-উপযোগ ভোগের গতি।
চারদিকেই যেন হাহাকার। চলতি বছর এমন দৈন্যতায় ভুগবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। প্রবৃদ্ধির বদলে সংকোচনের পড়বে অধিকাংশ অর্থনীতি।
'কিন্তু, চীন বরাবরই এক বিস্ময়। এবারও, তার ব্যতিক্রম কিছু হচ্ছে না। এবছর মুষ্টিমেয় যে কয়টি দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে, তাদের মধ্যে শীর্ষেই থাকবে চীন। তাক লাগিয়ে দেওয়া ৫ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আসতে পারে এপ্রিল-জুন প্রান্তে। পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিক প্রান্তিকে সংকোচনে পড়ার পরেও দ্রুত উত্তরণের পথে চীনা অর্থনীতি' এমন কথা জানিয়েছেন ডয়েচে ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবীদ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের গবেষণা প্রধান মাইকেল স্পেন্সার।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসির স্কুইক বক্স এশিয়া অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে চীনের অর্থনীতি নিয়ে তিনি খুবই ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
মাইকেল স্পেন্সার বলেন, চীনা অর্থনীতির স্থানীয় চাহিদার দিকটি খুব দ্রুতই আগের অবস্থানে ফিরে আসছে। এছাড়াও, আরও নানাবিধ অবস্থার সূচক; যেমন গাড়ি ও সম্পত্তি বিক্রি মহামারি পূর্ব আগের অবস্থায় ফিরছে। এমনকি দেশটির রপ্তানি আয় যা ধারণা করা হয়েছিল তার চাইতে অনেক বেড়েছে। তবে এখনও আগামী কয়েক মাস যথেষ্ট শঙ্কার কারণ আছে। এসময় চীনের প্রধান প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোয় মহামারি পরিস্থিতির প্রভাবে ভোক্তা সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয় এবং চীনের কর্মসংস্থান বাজারে।