রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারে আইসিডির বর্ধিত চার্জ আদায় বাতিল চায় বিজিএমইএ
বেসরকারি আইসিডিতে রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনারের ২৩ শতাংশ বর্ধিত চার্জ রহিত বা বাতিল করতে আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডাকে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিকডার সভাপতিকে দেওয়া এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আকস্মিকভাবে আইসিডিতে বিভিন্ন চার্জ বৃদ্ধির ফলে দেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানি কাৰ্যক্রমে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চার্জ বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আলোচনা করা হয়নি। একতরফা চার্জ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মোটেও যুক্তিসঙ্গত ও ব্যবসাবান্ধব নয়।
গত ১০ নভেম্বর বিজিএমইএর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিকডা সভাপতিকে এই চিঠি দেন। ১৩ নভেম্বর (শনিবার) গণমাধ্যমকে চিঠির বিষয়ে অবহিত করে বিজিএমইএ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ট্যারিফ কমিটির অনুমোদন না নিয়ে প্রাইভেট আইসিডিগুলোর রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের বিভিন্ন চার্জ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। প্রাইভেট আইসিডি কর্তৃক যেকোনো চার্জ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ট্যারিফ কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিশ্বব্যাপী কমায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রেতারা বাংলাদেশে যেসব রপ্তানি আদেশ দিয়েছে, তা রপ্তানিকারকরা বর্তমানে কার্যকর ব্যবসায়িক খরচের ওপর ভিত্তি করে সম্পাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। একতরফাভাবে হঠাৎ বিকডা কর্তৃক বিভিন্ন চার্জ বৃদ্ধির ফলে তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানি আদেশগুলো কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রপ্তানির বৃহত্তর স্বার্থে বিকডার সার্কুলার অনুযায়ী বর্ধিত হারে রপ্তানি পণ্যবাহী বিভিন্ন চার্জ আদায় বাদ দেওয়ার জন্য বিকডা সভাপতিকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তি ব্যয় সমন্বয়ের জন্য গত ৮ নভেম্বর এক সার্কুলারে ৫টি খাতে ২৩ শতাংশ চার্জ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বিকডা। এই চার্জ কার্যকর করা হয় ৪ নভেম্বর থেকে।
চার্জ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে গত ৮ নভেম্বর বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান টিবিএসকে জনিয়েছিলেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আইসিডির বিদ্যমান আর্থিক সংকট আরো বেড়ে গেছে। পণ্যবাহী গাড়ি ও আইসিডির বিভিন্ন ইকুইপমেন্টের জ্বালানি ব্যয় বেড়েছে। মূলত সেগুলো সমন্বয় করতে ফুয়েল সারচার্জ আরোপ করা হয়।
১৯টি বেসরকারি আইসিডিতে শতভাগ রপ্তানি পণ্য কনটেইনার বোঝাই করে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া খাদ্যপণ্যসহ ৩৭ ধরনের আমদানি পণ্য জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর জন্য সেগুলো ডিপোতে এনে খালাস করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১ থেকে ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে এসব আইসিডি অবস্থিত।