২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শের আশা
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ পরিমাণ রপ্তানি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।
২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা পাঁচ বছর আগে নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন রপ্তানিকারকরা।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত অর্থবছর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছর ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে ২০১৬ সালে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮.৫ থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা রপ্তানি থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মত আয় হতে পারে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হতে পারে এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছি।
ইপিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর নিটওয়্যার রপ্তানিতে ১১%, ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৯% প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।
বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম মনে করেন, নিটওয়্যার রপ্তানিতে আগামী বছর ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে এখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশেরও বেশি।
অন্যদিকে, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজিম টিবিএসকে বলেছেন, ওভেন রপ্তানিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তবে এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ করোনা পরিস্থিতিও নির্ভর করবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়ে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে ১৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছর এ খাতে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে ইপিবি।
হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, আগামী বছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে সংস্থাটি।
মহামারির বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি সব সময় ইতিবাচক ছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা পূরণ করতে দেশীয় পাটকলগুলো কাঁচামাল সংকটে পড়েছে। পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে মে পর্যন্ত ৩৩ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন অর্থবছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে ইপিবি।
চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে লেদার এন্ড লেদার গুডস রপ্তানি থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪%, আগামী অর্থবছর এ খাত থেকে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন ইপিবির কর্মকর্তারা।
করোনা মহামারিতে রপ্তানি বেড়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেরও। এখন পর্যন্ত এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ, আগামী অর্থবছর খাতটি থেকে ১৫% প্রবৃদ্ধি আশা করছে সরকার।