দেশের অর্থনীতি চাপে: কী করতে পারি আমরা?
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, দ্রুত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধিসহ আমদানি অর্থ পরিশোধে ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধির কারণে দৃঢ় ও স্থিতিশীল অবস্থান থেকে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। রেমিটেন্স কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের কাছে মূল্য হারাচ্ছে টাকা। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেখা দিয়েছে ঘাটতি, যা থেকে দেশজুড়ে পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
গ্যাসের অভাবে কিছু সার কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রপ্তানি রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সুখবর হলো বিশ্বব্যাপী গমের দাম কমেছে।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার যেকোনো মূল্যে সার আমদানি করবে। যেহেতু বৈশ্বিক এই সংকট কয়েক মাস বা বছর ধরে চলতে পারে, আমরা বিশ্লেষকদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আসন্ন ধাক্কা প্রতিরোধসহ জ্বালানি ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে ও কৃষি খাতকে অক্ষত রাখতে এখন কী করা দরকার।
সুচিন্তিত পরিকল্পনা ছাড়া কঠোর সংকোচনমূলক উদ্যোগে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে
ড. জাহিদ হোসেন
আগামীতে দেশের অর্থনীতি কোন দিকে যাবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতির ওপর। তবে গত কয়েকদিনে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দামে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেও বাণিজ্য বিষয়ক চুক্তির সুবাদে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও সারের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এই দুই দেশ থেকে ইতোমধ্যেই বড় অঙ্কের গম সরবরাহ শুরু হওয়ায় পণ্যটির দামও কমতে শুরু করেছে।
তবে এটাও ঠিক যে বাণিজ্যিক যুদ্ধ বিরতি শুরু হলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক যুদ্ধের সহসাই অবসান হচ্ছে না। এর ফলে ইতোমধ্যেই সংকটে পড়ে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো হয়ত মন্দা এড়াতে পারবে না।
বড় বাজারগুলোতে সংকটের কারণে তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেলে আমাদের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। এর ফলে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের দামও কমতে পারে। এর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে। এর ফলে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও টাকার বিনিময় হারের চাপ সহসাই কমবে না।
এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এসব উদ্যোগের কোনটা সংকট মোকাবেলায় কাজ করবে আর কোনটা উল্টো ফলাফল নিয়ে আসবে এ বিষয়ে বিষদ আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নেওয়া সংকোচনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের বড় লক্ষ্য ডলার সংকট মোকাবেলা করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। ডলার সরবরাহের ওপর আমাদের খাদ্য, অন্যান্য পণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের বিভিন্ন উপকরণের আমদানি নির্ভর করে।
ফুল, ফলসহ বিভিন্ন ধরনের বিলাস পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তাছাড়া সরকারি কর্মীদের বিদেশ সফর, প্রকল্পের ব্যয় সীমিত করার ফলে বিদেশি মুদ্রার কিছুটা সাশ্রয় হবে। এসব উদ্যোগের বাড়তি কোনো প্রভাব নেই।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে আমাদের অনেক পণ্যের উৎপাদন আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমাদের শিল্প উৎপাদন ঠিক রাখতে গ্যাস, বিদ্যুতের যেমন দরকার, তেমনি বিভিন্ন উপকরণও আমদানি করা দরকার।
সময়মতো সার, কীটনাশক ও বীজ আমদানি করতে না পারলে আমাদের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তাও বড় ধরনের ঝুকিতে পড়তে পারে।
আফ্রিকায় ইতোমধ্যেই খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। খাদ্যের উৎপাদন ব্যাহত হলে এমন সংকট আমাদের দেশেও হতে পারে।
এ অবস্থায় কৃষিতে সেচ নিশ্চিত করতে বিদ্যুত ও তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেচের মাধ্যমে আমন চাষ শুরু হয়েছে। লোডশেডিং না থাকায় সেচে ডিজেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
আবার লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়ি ও অফিসে তেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। আর শিল্প কারখানায় ক্যাপটিভ জেনারেটর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসের চাহিদাও বাড়ছে।
তেল আর গ্যাসের সাশ্রয়ের জন্যে লোডশেডিং দেওয়া হলেও এর ফলে জ্বালানি ব্যবহার না কমে উল্টো বাড়তেও পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আগে সুচিন্তিতভাবে বিবেচনা করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।
আর এই লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্পখাতে উৎপাদন কম হলে রপ্তানি আয় কমে আসবে। অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদার কম পণ্য উৎপাদন হলে দাম বেড়ে যাবে। জ্বালানি সাশ্রয় করতে সৃষ্ট লোডশেডিংয়ের ক্ষতি সাশ্রয়ের চাইতে আরও অনেক বেশিও হতে পারে।
প্রসঙ্গক্রমে এটা উল্লেখ করা যায়, শ্রীলঙ্কায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সার আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সারের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় যে পরিমাণ খাদ্যের উৎপাদন কম হয়েছে তার মূল্য ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় সংকট মোকাবেলায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও বিষদভাবে লাভ লোকসানের হিসাব করতে হবে।
মুদ্রার বিনিময় হারেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিধিবহির্ভূত ধারণা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের চাইতে অনেক কম হার নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাজারে এই হারে ডলার পাওয়া না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একদিকে ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের অর্থ ঠিকমত দেশে আসছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেধে দেয়া রেটের চাইতে ডলারে সাত-আট টাকা বেশি পাওয়া গেলে প্রবাসীরা নিয়মিত চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠাবে না। বাজারের চাইতে অনেক কম বিনিময় হার ধরে তা কার্যকর রাখতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বাজারে ছাড়তে হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই সামর্থ্য থাকায় তারা ডলারের রেট ৪০ রূপিতে নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে মূদ্রার বিনিময় হার ধরে রাখতে ব্যয় করার মতো পর্যাপ্ত ডলার আমাদের রিজার্ভে নেই। বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট এড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রাখতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের আগে বাজারের বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে।
টেলিফোনে টিবিএসের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন ড. জাহিদ হোসেন
জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে
আবুল কাশেম খান
পৃথিবীতে এবারই প্রথম একসঙ্গে চারটি সংকট দেখছে মানুষ। তেল, গ্যাস, কয়লা ও ফুড ইনফ্লেশন। আমার জানামতে এমন সংকট পৃথিবী দেখেনি। বর্তমান সংকটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপসহ উন্নত সব দেশ, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ এমনকি আফ্রিকার গরীব দেশগুলোও কোনো না কোনোভাবে সংকটে পড়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বৈশ্বিক এলএনজির দাম কয়েক মাসের মধ্যে ৮-১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। জ্বালানির দামও অনেক বেড়েছে। খাদ্যশস্যের দাম ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে মুদ্রার দাম কমে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এমতাবস্থায় আমদানি কমানো এবং সাশ্রয়ী হওয়ার বিকল্প নেই।
আমাদের সরকার যে কৌশল হাতে নিয়েছে, সাময়িকভাবে আমিও এর বিকল্প দেখছি না। তবে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে এটি সাময়িক হিসাবে নিতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে গ্যাস সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাখা দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে না। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে থমকে যাবে।
শিল্পকারখানাগুলো গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেলে উৎপাদন আটকে যাবে। রপ্তানি আদেশের পণ্য ঠিকমতো উৎপাদন করতে না পারলে ক্রেতারা অন্যত্র চলে যাবে। এতে আমদানি ও ডলার আয় কমে যাবে। উৎপাদন ও ব্যবসা ব্যাহত হয় এমন কিছু করা যাবে না।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি যে সংকটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো গ্যাস। আমাদের গ্যাস সংকটের পেছনে নিজেদেরও কিছুটা দায় রয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। আমাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধনাএ মনোযোগী হওয়া দরকার ছিল। নিজেদের যে কয়লা রয়েছে তা অনুসন্ধান করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ও জ্বালানির ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে সব দেশই জেনে গেছে। আমেরিকা- জার্মানিসহ অনেক দেশই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ভাবছে। সব দেশই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। আমাদেরও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, আমাদের মাটির নিচে যে গ্যাস ও কয়লা রয়েছে তা অনুসন্ধান করলে ১০০ বছর চলার মতো সম্পদ পাওয়া যাবে। এ সম্ভাবনাটা কাজে লাগাতে হবে। নতুন করে যে মেরিটাইম সম্পদ আবিষ্কার হয়েছে তা কাজে লাগে লাগিয়ে সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ বের করতে হবে। অন্তত ৮০ শতাংশ জ্বালানি যেন অভ্যন্তরে পাওয়া যায় সে রোড ম্যাপ করতে হবে।
টেলিফোনে টিবিএসের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আব্বাস উদ্দিন নয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আবুল কাশেম খান
চরম আবহাওয়া রাজনৈতিক, খাদ্য সংকট বাড়িয়ে তুলবে
অধ্যাপক মোঃ সাইদুর রহমান
বর্তমানে আমাদের মতো দেশগুলোতে তাপমাত্রা চরম রূপ নিচ্ছে, যা হয়তো আরও দুই মাস পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
এমনটা হলে আমাদের ফসলের স্বাভাবিক ধরন বা ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে।
আমরা কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি একটাই কারণে, আমাদের কৃষি উৎপাদন ভালো ছিল; আমাদের কোনো ধরনের বৈরী পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। কিন্তু যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে সামনের দিনগুলোতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার বড় ধরনের আশঙ্কা রয়েছে।
সত্যিই যদি এমন হয়, তাহলে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা হবে, যা শেষ পর্যন্ত মানুষের ফুড বাস্কেটকে প্রভাবিত করবে।
ফলশ্রুতিতে আমাদের এই ফুড বাস্কেট সংকোচনের আবশ্যকতা দেখা দিবে। যেমন, চালের দাম যদি ৮০ থেকে ১৮০ টাকা হয়ে যায়, তাহলে আমাদেরই ফুড বাস্কেট থেকে চাল কমাতে হবে।
যে বৈরী আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে, আমি বলব, তা নিঃসন্দেহে আতংকের। এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে, আমাদের কৃষি উৎপাদন যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে, সেজন্য উচিত হবে আমাদের একটি আগাম পরিকল্পনা করা।
অবস্থার অবনতি হলে আমরা কী ধরনের ফসল উৎপাদন করব, কতটুকু করব, সেখানে কারো সহায়তা লাগবে কিনা- সে জায়গাগুলো আমাদের সরকারি পর্যায় থেকে দেখা দরকার।
বাংলাদেশের মানুষের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আমাদের যে রাজনীতি তা খাদ্যনির্ভর রাজনীতি। এ জায়গাতে যদি কোন স্বল্পতা দেখা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে সামাজিক উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে তুলবে।
সর্বোপরি আমি বলতে চাই, জলবায়ুগত যে পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেটার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এখনই পরিকল্পিত উপায়ে আমাদের খাদ্য উৎপাদনের যেখানে যা ব্যবস্থা দরকার তা নেয়া উচিত।
এটা না করা হলে আমরা গুরুতর সংকটে পড়তে পারি, যে সংকট রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্ম দেবে এবং সমগ্র অর্থনীতিকেই দুর্বল করে তুলবে।
সুতরাং ফসল উৎপাদন, মজুদ, আমদানি যদি করতে হয়, তার জন্য এখন থেকেই চিন্তাভাবনা করা দরকার। পাশাপাশি কোন খাতে প্রণোদনা দিলে আমাদের চাষীরা অধিক উৎপাদনে সক্ষম হবে, সেখানে সরকারের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা দরকার।
শেষে আরও যোগ করতে চাই, সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সরকারের উচিত তাদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করা যেন তারা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
অধ্যাপক মোঃ সাইদুর রহমান, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়