শিল্পখাতের প্রণোদনা বাড়লো আরো ৩ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য দেওয়া ২৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজে আরো তিন হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত এই বরাদ্দ থেকে দেশি-বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া এবং শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন শিল্প ইউনিটের ব্যবসার প্রসারে সহায়তা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রণোদনা প্যাকেজটির ৩য় ও সর্বশেষ পর্যায়ের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর (সিএমএসএমই ছাড়া) জন্য মোট ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বেজা, বেপজা ও বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষ-তে অবস্থিত 'এ', 'বি' ও 'সি' টাইপ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ঐ অঞ্চলসমূহের বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন/ যৌথ মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে সর্বমোট ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধাপ্রাপ্ত হয়নি তারা ৩য় পর্যায়ে সে সুবিধা পাবে বলেও উল্লেখ করা হয় সার্কুলারে।
এ প্যাকেজের আওতায় এখন পর্যন্ত কোন ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এর আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সাধারণভাবে ঋণগ্রহীতা বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ হবে এক বছর। ঋণের প্রাপ্যতার সমপরিমাণ টাকা কোনো গ্রাহককে এক বছরে দেওয়া সম্ভব না হলে বাকি টাকা প্যাকেজের বাকি মেয়াদের মধ্যে ঋণ বা বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়া যাবে।
তবে, গ্রাহক পর্যায়ে মোট ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ কোনোভাবেই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে তার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ মঞ্জুরীকৃত বা প্রদত্ত সীমার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ নিয়েছে তাদের নতুন করে অন্য কোন ব্যাংক থেকে প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া যাবে না।
প্যাকেজের আওতায় ৩য় পর্যায়ে সম্মতিপত্র প্রদানকৃত ঋণ বা বিনিয়োগ আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।