জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি হার ৭.৪৮ শতাংশে নেমেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
গত মাস জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে ৭.৪৮ শতাংশে নেমে আসে। আগের মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, 'চাল, তেল ও আটার দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। রাশিয়া থেকে আরও গমের চালান আসছে'।
জুনের ৮.৩৭ শতাংশ থেকে কমে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.১৯ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ৭.৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ– আগামী বছরের জুলাইয়ে ভোক্তারা যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় কিনতেন– তা গত মাসে কিনতে লেগেছে ১০৭ টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য চড়া থাকায়- এই বছরের জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৫৬ শতাংশে পৌঁছায়। ওই মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত দুধরনের পণ্যের দামই বাড়ে। জুনে খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি ৮.৩৭ শতাংশ হয়েছিল; তার আগের দুই মাসে যা ছিল যথাক্রমে ৮.৩০ ও ৬.২৩ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যশস্য ও ধাতুর মূল্যে যে আগুন লেগেছে তা নিভে আসার জন্য বাংলাদেশকে আরও দেড় বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া বন্ধ হতেও এতোটা সময় লাগতে পারে।
জুনে প্রস্তুত করা 'ইনফ্লেশন আউটলুক ফর বাংলাদেশ' নামক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, '(আন্তর্জাতিক) এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান মুদ্রানীতির অবস্থানের ভিত্তিতে, অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি স্বল্পমেয়াদে (২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে) সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ২০২৩ সালের শেষদিকে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য কমতে থাকলে মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাবে'।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরেকটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫.৬ শতাংশের; তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যসহ সকল পণ্যের দাম চড়া থাকায় এবং টাকার মান কমতে থাকায়– মূল্যস্ফীতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে না।