পুনঃতফসিলকৃত ঋণের সুদ আয়খাতে নিতে পারবে না ব্যাংক
কোন খেলাপি গ্রাহকের ঋণ পুনঃতফসিল করা হলে ওই ঋণের প্রকৃত আদায় ব্যতিত সুদ আয়খাতে নিতে পারবে না ব্যাংক।
একইসঙ্গে মন্দ ঋণ (ব্যাড লোন) তৃতীয় ও চতুর্থ বার পুনঃতফসিলের বিপরীতে প্রভিশন ব্যাংকের প্রকৃত আদায় ব্যতিত আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ নিয়ে জারিকৃত সার্কুলারে কয়েকটি ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন ও স্পষ্টিকরণের জন্য বুধবার নতুন একটি সার্কুলার ইস্যু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের নীতিমালা অনুযায়ী কোন খেলাপি গ্রাহকের ঋণ পুনঃতফসিল করা হলে ওই ঋণের প্রকৃত আদায় ব্যতিত সুদ আয়খাতে নেওয়া যেত।
সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো গ্রাহকের ঋণ পুনঃতফসিল করার পর ঋণের ছয়টি মাসিক (আসল ও সুদসহ) ও দুইটি তিনমাসিক কিস্তি অনাদায়ী হলেই সরাসরি মন্দ মানে শ্রেণিকরণ করা হবে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ১৫ মাস অর্থ পরিশোধ না করা হলে একটি পুনঃতফসিলকৃত ঋণ মন্দ হিসেবে বিবেচিত হতো।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনের সময় উপযুক্ত শর্ত পূরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে পুনঃতফসিল ঋণের শ্রেণিকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে আগের সার্কুলারে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি।
এছাড়া আগের সার্কুলারের ৯ নং অনুচ্ছেদে নতুন একটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। কোন ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের জন্য যে পর্যায় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার এক স্তর ওপরের পর্যায় থেকে অনুমোদিত হতে হবে। একইসঙ্গে তা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অবহিত করতে হবে।
তবে কোন ঋণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করার পর নতুন করে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করতে হলে ব্যাংকের এই পর্যায় থেকেই করতে হবে।
কৃষি, কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র ঋণ ছাড়া অন্যান্য ঋণ যে পর্যায়ে অনুমোদন হোক ৩য় ও ৪র্থ বার পুনঃতফসিল করতে হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগবে।