ঋণ পুনর্গঠন: সব ঋণগ্রহীতার জন্য সমান সুবিধা চায় এফবিসিসিআই
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন নিয়ে সার্কুলারে ঋণগ্রহীতাদের যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে সবার জন্য সমান সুবিধা চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সার্কুলারে বড় অঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের জন্য অপেক্ষাকৃত ছোটেদের জন্য কম ছাড় দেওয়া হয়েছে। এফবিসিসিআই ছোট অঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের জন্যও একই সুবিধা চেয়েছে।
ঋণ খেলাপিরা যাতে তাদের অ্যাকাউন্ট নিয়মিত রাখতে পারে, সে সুবিধার্থে ঋণ পরিশোধের সময়কাল প্রায় পাঁচ গুণ বাড়িয়ে এবং ডাউন পেমেন্ট চার গুণ কমিয়ে ঋণ পুনর্নির্ধারণ নীতি পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলার অনুসারে, ৫০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণের বড় খেলাপিরা এখন সর্বোচ্চ ২৯ বছরের জন্য চার বার পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ সুবিধাসহ ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
তাদের ঋণ পুনর্নির্ধারণের জন্য ডাউন পেমেন্টে একটি মেগা ডিসকাউন্টও দেওয়া হবে।
এফবিসিসিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারকে পাঠানো এক চিঠিতে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদেরও একই সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
একই সময়ে, ঋণ পুনর্নির্ধারণ এবং পুনর্গঠনের জন্য সর্বনিম্ন ডাউন পেমেন্ট হার সব ঋণগ্রহীতার জন্য ২.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, টার্ম লোন ও ওয়ার্কিং ক্যাপিটেল ও ডিমান্ড লোনের ক্ষেত্রে প্রথম দুইবার পুনঃতফসিলীকরণের মেয়াদ হবে আট বছর। পরের দুইবার যথাক্রমে ৬ বছর ও ৫ বছর।
এর ডাউন পেমেন্ট রাখা হয়েছে ২.৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ।
কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণের খেলাপিদের জন্য ঋণ পরিশোধের মেয়াদ প্রথমবারের জন্য পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবার আড়াই বছরে নেমে যাবে। এছাড়া, পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের জন্য তারা ১০.৫ বছর পর্যন্ত সময় পাবে, যেখানে বড় ঋণগ্রহীতারা পাবে ২৯ বছর।
এফবিসিসিআই ক্ষুদ্র ঋণ খেলাপিদের জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ আট বছর বাড়ানোর জন্য বলেছে।
এছাড়া সংগঠনটি চিঠিতে বলেছে, কোভিড পরিস্থিতি ও ইউক্রেন সংকট বিবেচনায় ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা শর্ত সাপেক্ষে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে যে শর্ত দেয়া হয়েছে তা ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়েছে যাচ্ছে।
"তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানাচ্ছি, সিএমএসএমই ও কৃষি খাতের প্রদেয় কৃস্তির ১৫ শতাংশ ও বহৎ শিল্পখাতের ঋণের প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ গ্রহণের," বলা হয় চিঠিতে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তাদের কোনো দাবি-দাওয়া না থাকলেও এটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।