বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বৈচিত্র্য বাড়ছে, পিছিয়ে বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বৈচিত্র্য বেড়েছে। কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন খাতে। দেশ থেকে তাই দক্ষ কর্মী বাহিনী কাজের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অনেকটা পতনের মুখে। আর এই সংকটের মুহূর্তে যে পরিমাণ বৈদেশিক রিজার্ভ দেশে থাকা প্রয়োজন, সে অনুপাতে বাড়ছে না বিদেশি কর্মীর সংখ্যা।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে দক্ষ বিদেশি কর্মীর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলেও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে বসেছে বাংলাদেশ। কারণ এখনও দেশের বেশিরভাগ কর্মীই অদক্ষ কিংবা স্বল্পদক্ষ।
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়, জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার কমপক্ষে ৫০ লাখ নতুন কর্মী বিদেশে প্রেরণ এবং ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই ৫০ লাখের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হবে দক্ষ শ্রেণীর কর্মী।
কিন্তু বিগত দুই অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উল্লেখযোগ্যভাবে এগোতে পারেনি সরকার। গেল দুই বছরে দেশের দক্ষ জনশক্তি নিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের বাজার সম্প্রসারণ ছিল খুবই নগণ্য। এ সময়ে ৬০ বিলিয়ন ডলার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৫.৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করেছে বাংলাদেশ।
করোনা মহামারিজনিত সংকটের মাঝেও কেবল ২০২২ অর্থবছরে ৯.৮৮ লাখ বাংলাদেশি কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন, তবে এদের মধ্যে ৫৭ ভাগই অদক্ষ কর্মী। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) জানিয়েছে এ তথ্য।
একই অর্থবছরে (২০২২) দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১৫ শতাংশ।
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ১০-দফা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কার, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন, বিভিন্ন পরিষেবায় প্রবেশাধিকার, অর্থের যোগান, অধিকার সুরক্ষা, ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ, বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতা, অভিবাসনের খরচ এবং পুনঃএকত্রীকরণ। তবে এগুলোর বেশিরভাগই বাস্তবায়িত হয়নি এখনও পর্যন্ত।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ)-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নানান ধরনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সরকারের উচিত দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্পমেয়াদী কর্মসূচি প্রণয়ন করা। এই পদক্ষেপ দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ মামুন-আল-রশিদ অবশ্য দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা সবসময় দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। এরকম অনেক প্রকল্প বর্তমানে চলছে, তবে সম্প্রতি সময়ে নতুন কোনো প্রকল্প আসেনি।"
বর্তমান ডলার সংকট নিয়ে সরকার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূলত এ কারণেই সরকার অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
"এমনকি বিদেশ সফর জড়িত, এমন কোনো নতুন প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রেমিট্যান্স ব্যবহার এবং ডলার সাশ্রয়ের চেষ্টা করছি", যোগ করেন তিনি।
যেহেতু বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সরকারের একটি মধ্যম-মেয়াদী ব্যবস্থা, তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষের উচিত তাৎক্ষণিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা। এরমধ্যে রয়েছে- প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বন্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাড়িতে টাকা পাঠাতে তাদেরকে উৎসাহিত করা, বিশেষ প্যাকেজ-প্রণোদনা ইত্যাদি ঘোষণা করা।
তাসনিম সিদ্দিকী টিবিএসকে বলেন, সরকারকে অবশ্যই এনআরবি-কে বন্ডে ১০ কোটি টাকা বা তারও বেশি বিনিয়োগ করার অনুমতি দিতে হবে। এছাড়া সরকারকে বন্ডের ওপর আরোপিত বিভিন্ন কর ও ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
অধিকন্তু, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর নগদ প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেইসঙ্গে আরও বলেন, "বর্তমান সংকটের মধ্যে এটি কেবল তিন মাসের জন্য করা যেতে পারে। সরকার যদি এমন সুবিধা দেয়, তবে কেউ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করবে না।"
তবে গত মাসে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান কেবল বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীল খাতেই প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে চাকরির সুযোগ
কুপার ফিচের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম তিনমাসের তুলনায় দ্বিতীয় তিনমাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১০ শতাংশ।
তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে বিক্রয় এবং বিপণন, ক্লাউড, পাবলিক সেক্টর, সফ্টওয়্যার উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা এবং ফিনান্সিয়াল সেক্টরে।
কুপার ফিচের বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করেছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এরপরে বাহরাইনে বেড়েছে ৯ শতাংশ, ওমানে ৬ শতাংশ, কাতারে ৪ শতাংশ এবং সৌদি আরবে বেড়েছে ৩ শতাংশ। তবে, কুয়েতের চাকরির বাজার চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে সংকুচিত হয়েছে ২ শতাংশ।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে মেটাভার্স খাতে ৪০ হাজার চাকরিসহ নতুন যুগের প্রযুক্তি খাতে আরও কয়েক হাজার চাকরির সুযোগ আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশটি কোডারদের জন্যও ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
স্থানীয় ব্যাংকগুলোও ক্রমবর্ধমানভাবে ডিজিটাল ব্যাংকিং-এর দিকে ঝুঁকছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেন্ট্রাল ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম তিনমাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে ব্যাংক কর্মীদের সংখ্যা ৮৪৫ বেড়ে ৩৩ হাজার ৮৮২-তে উন্নীত হয়েছে। তবে শাখার সংখ্যা ২২টি কমে ৫৮৫ হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, বৃদ্ধির এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে ক্রমবর্ধমানভাবে আইটি, বিক্রয় ও বিপণন খাতে কর্মী নিয়োগ করছেন বিনিয়োগকারীরা।
কিন্তু বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)-এর সাবেক সভাপতি আবদুল বাশার জানান, বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে নিরাপত্তারক্ষী, ড্রাইভার এবং নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এছাড়া, উপসাগরীয় অন্যান্য দেশে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, নিরাপত্তা প্রহরী এবং ড্রাইভার হিসেবে বাংলাদেশিরা চাকরি নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনার টেকনিশিয়ান হিসেবে কিছু স্বল্পদক্ষ শ্রমিক ওমানের মতো বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন।
বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান টিবিএসকে বলেন, "বিদেশি মিশনগুলোর দায়িত্ব হওয়া উচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য দেওয়া। তারা আমাদের জানালে আমরা নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্মী পাঠাতে পারি।"
"কিছু কর্মী অনলাইনে নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে আইটি খাতে চাকরি সুযোগ নিতে পারে, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম," যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলই সবচেয়ে বড় চাকরির বাজার। বেসকারি হিসাব অনুযায়ী, এ অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখের মতো বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন।
বিএমইটি তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে উপসাগরীয় ৬ দেশে ৯৩ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থা তৈরি হয়েছে।
বৈদেশিক কাজে বৈচিত্র্য
সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদেশে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাতে শুরু করেছে। গত দুই মাসে দেশ থেকে প্রায় এক হাজার নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ানকে কুয়েতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপসহ আরও কিছু অঞ্চলে দক্ষ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন, কেয়ারগিভার, আইটি প্রফেশনাল এবং আরএমজি কর্মী পাঠানো হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটি খুবই কম।
আরএমএমআরইউ-এর ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, "নার্সিংসহ দক্ষ অভিবাসন এখন খুব ছোট পরিসরে হচ্ছে; মাত্র ১০০ থেকে ২০০ লোক যাচ্ছে। এটি খুবই নগণ্য।"
"আমাদের অবশ্যই ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ৫০ হাজার পেশাজীবী যখন এই খাতে চাকরি পাবে, তখন সরকারকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না", যোগ করেন তিনি।
প্রথমে একটি লক্ষ্য নির্ধারণের পর কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের প্রতি তিনি গুরুত্ব দেন।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, আন্তর্জাতিক অভিবাসনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এবং ২০২০ সালে রেমিট্যান্স অর্জনে দেশের অবস্থান ছিল অষ্টম।
অর্থাৎ, বিদেশে বেশি কর্মী পাঠানোর পরেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় কম।
২০২০ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ প্রায় ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।
সে বছর বিশ্বে রেমিট্যান্স অর্জনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভারত (৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার), চীন (৫৯.৫১ বিলিয়ন ডলার), মেক্সিকো (৪২.৭বিলিয়ন ডলার), ফিলিপাইন (৩৪.৯১ বিলিয়ন ডলার), মিশর (২৯.৬০ বিলিয়ন ডলার), পাকিস্তান (২৬.১১ বিলিয়ন ডলার) এবং ফ্রান্স (২৪.৪৮ বিলিয়ন ডলার)।
একাধিক সূত্রের তথ্য দেখায়, ভারত, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনসহ যেসব দেশ দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠায়, তারা বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স অর্জন করে।
আইওএম-এর তথ্য বলছে, একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর পাঠানো গড় মাসিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০৩.২২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৭ হাজার ২৩৬ টাকা। অন্যদিকে, ফিলিপাইনের একজন শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন ৫৬৪.১ মার্কিন ডলার।
এছাড়া, একজন পাকিস্তানি প্রবাসীর মাসিক গড় আয় ২৭৫.৭৪ মার্কিন ডলার, একজন ভারতীয় কর্মীর ৩৯৫.৭১ মার্কিন ডলার এবং একজন চীনা প্রবাসী কর্মীর গড় আয় ৫৩২.৭১ মার্কিন ডলার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রাপ্তি শীঘ্রই ২০২২ অর্থ বছরের ঘাটতি থেকে ফিরে আসবে, কারণ গত বছর প্রায় ১০ লাখ কর্মী বিদেশে গিয়েছেন এবং আরও অনেক কর্মীর বিদেশযাত্রা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
"চলতি মাসে আমরা মালয়েশিয়ার জন্য এমপ্লয়মেন্ট পারমিট দিতে শুরু করেছি", বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, "এছাড়া, প্রথমবারের মতো কোনো ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আমরা গ্রিসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। এর মাধ্যমে বৈধ উপায়ে ইউরোপে কর্মী পাঠানো হবে। আমরা শীঘ্রই অন্য আরও কয়েকটি দেশে কর্মী পাঠাতে শুরু করতে যাচ্ছি।"