কিস্তিতে ইডিএফ ঋণ পরিশোধের সুযোগ পেলো রপ্তানিকারকেরা
রপ্তানিকারকদের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণ তিন কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতোদিন ঋণ পরিশোধ করতে হলে একসঙ্গে পুরো টাকা দিয়ে দিতে হতো।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইডিএফ ঋণ আংশিকভাবে পরিশোধের সুযোগ পাবে রপ্তানিকারকরা। ঋণের মেয়াদকালে সর্বোচ্চ দুই বার আংশিক পরিশোধ করা যাবে। অবশিষ্ট দায় ঋণের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে একবারে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ তিনটি কিস্তিতে ঋণের পুরো দায় পরিশোধ করা যাবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতোদিন ইডিএফ ঋণের দায় একবারে পরিশোধ করতে হতো। এতে সমস্যায় পড়তে হতো রপ্তানিকারকদের। কারণ অনেক সময় রপ্তানি আয় একসঙ্গে না এসে আংশিক আসে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, রপ্তানি আয় আংশিক পেলেও রপ্তানিকারকেরা এখন কিস্তিতে ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।
স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের জন্য এটির (কিস্তির সুবিধা) খুব দরকার ছিল। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিটি কারখানার জন্য ইডিএফ ঋণের সীমা ৩০ মিলিয়ন ডলার রাখা। বেশিরভাগ বড় কারখানারই রিপেমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।"
এদিকে সাশা ডেনিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ বলেন, "এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ, এটি ব্যবসায় করার খরচ কমানোর পাশাপাশি আমাদের ক্যাশ ফ্লো বাড়াবে।"
বাংলাদেশ ব্যাংক ইডিএফ থেকে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন উপকরণাদি আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃঅর্থায়ন করে থাকে। ইডিএফ ঋণের মেয়াদ ১৮০ দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই সময় আরও ৯০ দিন বাড়ানো যায়। দেশের রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো এককভাবে ইডিএফ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একই বিভাগের আরেক নির্দেশনায়, প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল স্ট্রাকচার ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে এলসি ইউজেন্স পিরিয়ড ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করা হয়েছে।