বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে
অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই–নভেম্বর সময়ে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমেছে ৮৮.২৭%। এই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ৪৬১.৩ মিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একইসময়ে প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছিল ৩.৯ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় ২০.২৯% কমেছে। প্রথম ৫ মাসে অর্থছাড় হয়েছে ২.৪৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় হয়েছিল ৩.০৮ বিলিয়ন ডলার।
ইআরডির সূত্র জানায়, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঋণ চুক্তি না হওয়ার কারণে জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রতিশ্রুতি কমেছে। তবে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ চুক্তি হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। যেমন ডিসেম্বরেও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ৬২৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর পর্যন্ত, বিশ্বব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়া অন্য বড় উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে তেমন প্রতিশ্রুতি আদায় হয়নি।
জুলাই-নভেম্বর সময়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান, চীনের মতো প্রতিশ্রুতিশীল উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।
চলতি অর্থবছরে সরকার আশা করছে, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি আদায় হবে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে উন্নয়ন সহযোগী ছাড় করেছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় ছিল ৩.০৮ বিলিয়ন ডলার।
অর্থছাড় কমার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইআরডির কর্মকর্তারা বলেন, সক্ষমতার অভাবে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এখনো বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড়ে পিছিয়ে আছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেট সহায়তা ও টিকা কেনার কিছু অর্থ ছাড় করেছিল। এ কারণে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় কিছুটা কম এসেছে।
অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে সব বেশি বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করেছে জাপান। এই সংস্থাটি ছাড় করেছে ৭৪২.৭৬ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬৮.৭ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে চীন।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক ৪২৫ মিলিয়ন এবং এডিবি ছাড় করেছে ৩১৯.৪ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে সরকার সুদ ও আসল মিলিয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো ৮৮০.৪৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এ হার ছিল ৮৬৮.২৫ মিলিয়ন ডলার।