২০২২ সালে ঢাকায় বার্ষিক গড়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১.০৮ শতাংশ
গতবছরের প্রথম মাসের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় গড় মূল্যস্ফীতি সামগ্রিকভাবে ১১.০৮ শতাংশ বেশি ছিল। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
'২০২২ সালে ঢাকা মেগাসিটিতে মূল্যস্ফীতির চাপ' শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, 'নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার ৯.১৩ শতাংশ বেশি ছিল'।
এতে জনসাধারণের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব তুলে ধরা হয়। আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
এসময় তিনি বলেন, 'জানুয়ারির তুলনায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করে, যা আবার মে মাসে হ্রাস পায়'। এবছর জ্বালানি তেলের চড়া দাম মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে।
ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্য মূল্য এবং পরিবহন খরচ বেড়েছে। এর কারণে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কৃষকদের ডিজেলের জন্য বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। সারের দাম বেশি ছিল। সবমিলে কৃষি উৎপাদন খরচও বেশি ছিল।
'অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়, এতে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফিনিশড প্রোডাক্টের বাইরে বিভিন্ন কাঁচামালের আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বেড়েছে' যোগ করেন তিনি।
ক্যাবের প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সামগ্রিকভাবে ছিল ১০.০৩ শতাংশ, নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৭.৭৬ শতাংশ বেশি। তবে এর চেয়েও বেশি ছিল খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি।
খাদ্য বাদে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার ছিল ১২.৩২ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে তা ছিল ১০.৪১ শতাংশ বেশি।
রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১১টি বাজার থেকে জরিপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা দ্রব্যমূল্যের তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪১ ধরনের খাদ্যজাত, ৪৯ ধরনের অখাদ্যজাত এবং ২৫ ধরনের পরিষেবার দাম বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়।