ঢাকায় ১,৬৪৬টি বাসের রুট পারমিট নেই, ৯৯২টি ফিটনেসবিহীন: ডিটিসিএ
ঢাকা মহানগরীতে অন্তত ১ হাজার ৬৪৬টি বাস কোনো রুট পারমিট ছাড়াই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)-এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থাপিত প্রেজেন্টেশনে ডিটিসিএ জানায়, কাগজে-কলমে ঢাকায় ১২৮টি সক্রিয় রুটে ৭ হাজার ৯১টি বাস নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪২৭টি বাস নিজস্ব রুটে চলাচল করলেও ২ হাজার ১৮টি বাস চলছে অন্য রুটে। পাশাপাশি, ১ হাজার ৬৪৬টি বাস কোনো রুট পারমিট ছাড়াই ঢাকায় চলাচল করছে।
ডিটিসিএ কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংস্থাটি আরও জানায়, ৭ হাজার ৯১টি বাস নিবন্ধিত থাকলেও বাস্তবে ঢাকায় চলাচলরত বাসের সংখ্যা ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজারের মধ্যে। এছাড়া, নিবন্ধিত বাসগুলোর মধ্যে ৯৯২টি বাস ফিটনেসবিহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংস্থাটির দাবি, শহরের ৭০ শতাংশেরও বেশি বাস রুট কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিআরটিএ'র অনুমোদিত ৩৮৮টি রুটের মধ্যে দুটি রুট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২৫০টির বেশি রুট বন্ধ থাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
ডিটিসিএ'র উপ-পরিবহন পরিকল্পনাবিদ ধ্রুব আলম বলেন, পরিবহন মালিকরা রুট পারমিট নিয়ে বেশি আয়ের আশায় অন্য রুটে চলে যান। পরবর্তীতে বাসের নাম ও রং পরিবর্তন করে অনুমোদন ছাড়াই ওই রুটে চলাচল করেন। ফলে, কিছু রুটে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করছে, যা ট্রাফিক জট ও বিশৃঙ্খলা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডিটিসিএ আরও জানায়, গণপরিবহনে 'ই-টিকিটিং' ব্যবস্থা চালু ও ভাড়া আদায়ের জন্য 'র্যাপিড পাস' চালু করা হয়েছে। জাপানের জাইকার কারিগরি সহায়তায় স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ও ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের লক্ষ্যে ডিটিসিএতে একটি ক্লিয়ারিং হাউজ স্থাপন করা হয়েছে।
মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআইডব্লিউটিসি এবং সরকারি-বেসরকারি বাস সেবায় যাত্রীসেবার উন্নয়নে র্যাপিড পাস সিস্টেম বাস্তবায়নের কাজ চলছে। রুট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ডিটিসিএ প্রাথমিকভাবে ৯টি ক্লাস্টার, ২২টি কোম্পানি এবং ৪২টি রুটের প্রস্তাব দিয়েছে। রুট পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাস-বে, বাস-স্টপ চিহ্নিতকরণ এবং সেগুলোর সংখ্যা নির্ধারণের কাজ চলছে।