তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঋণের সীমা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খাতে অর্থের প্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার সীমা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের স্বাক্ষরিত সার্কুলার অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি তেল এবং অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ব্যাংক তার মূলধনের ২৫% যেকোন একক ব্যক্তি, সংস্থা বা বিদ্যুৎ উৎপাদক গ্রুপকে ঋণ দিতে পারবে।
এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা কত হবে, তা নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দামে চলমান অস্থিরতার মধ্যে যাতে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে ঋণ দিলে ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভাগের মতে, তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো বিভিন্ন জ্বালানি-ভিত্তিক শক্তির উৎসের মধ্যে তেলভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি।
এর মধ্যে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ গড়ে ২২-২৫ টাকা।
বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ফোরাম বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগে স্টেকহোল্ডারদের এক সভায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছে।
তারা জানিয়েছে, এ বছর ফার্নেস অয়েল-ভিত্তিক প্ল্যান্টের ব্যবহার ৪০% থেকে ৬৬% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।