জ্বালানি আমদানিতে বকেয়া ৭০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প কারখানাগুলোর জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে, বিশ্ববাজার থেকে জ্বালানি ও গ্যাস আমদানি বাবদ বকেয়া ৭০০ মিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি এবং সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে পেট্রোবাংলা এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ইতোমধ্যেই জ্বালানি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চেয়েছে, যেন বকেয়া পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করে।
দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে বিদেশি জ্বালানি সরবরাহকারীদের কাছে তরল গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের বিল বাবদ পেট্রোবাংলা এবং বিপিসি'র যৌথ বকেয়া প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার।
এই অর্থের একটি অংশ বকেয়া রয়েছে ছয় মাস ধরে। এরই মধ্যে গ্যাস, তরল গ্যাস (এলএনজি) ও পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারী কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আর জ্বালানি সরবরাহ করবে না।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (অর্থ) কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে অর্থ প্রদানে বিলম্ব হয়েছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।"
এছাড়া রাষ্ট্রীয় ঋণদাতা সংস্থাগুলোও বলেছে, তারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বিপিসির আমদানির বেশিরভাগ বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুটি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সংকটের কারণেই এমন পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে।"
তিনি বলেন, "টাকার কোনো অভাব নেই। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার সংকটের কারণেই বিপিসির সাপ্লাইয়ারদের বকেয়া পরিশোধ করতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, অন্যান্য বকেয়া শীঘ্রই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।"
জ্বালানি তেল এবং তরল গ্যাসের জন্য বিপিসি এবং পেট্রোবাংলার বকেয়া নিষ্পত্তি করতে জনতা ব্যাংকের বর্তমানে কমপক্ষে ২৬৮ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
আবদুল জব্বার আরও বলেন, "জনতা ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের আমদানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সম্প্রতি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির প্রেক্ষাপটে একটি এলসি খোলা হয়েছে। জনতা ব্যাংকও সময়মতো আমদানি বিল পরিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।"
আরেক রাষ্ট্রীয় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ব্যাংকেরও জ্বালানি বিল বাবদ বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের দেনা মেটাতে ১১৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ মুর্শেদুল কবির টিবিএসকে বলেন, বিপিসির আমদানির কিছু বকেয়া বিল রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের।
"অগ্রণী ব্যাংক সবসময় জ্বালানি তেল ও সার আমদানিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দেনা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিনিয়ত চাহিদাপত্র পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ডলার সরবরাহ করে সহায়তা দিচ্ছে। এখানে কোনো বিশেষ সমস্যা নেই। শীঘ্রই জ্বালানি আমদানির ঘাটতি মিটবে," বলেন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সময়মতো বিল পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকটি বাংলাদেশি ব্যাংকের খোলা এলসি-তে কনফার্মেশন দিচ্ছে না কিছু বিদেশি ব্যাংক। বিশেষ করে, দুবাই-ভিত্তিক মাশরেক ব্যাংক এবং রাকব্যাংক কনফার্মেশন প্রদানে আপত্তি করছে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোও এখন এই জাতীয় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
প্রচণ্ড গরমে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় গত ৪ জুন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে; বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা ও গ্যাসের ঘাটতিজনিত এই সমস্যা 'অস্থায়ী'। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
ইতোমধ্যে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য শনিবার (১০ জুন) মোংলা বন্দরে ২৬,৬২০ টন ইন্দোনেশিয়ান কয়লা নিয়ে পৌঁছেছে চীনা জাহাজ। আগের চুক্তি অনুযায়ী সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে কয়লা সরবরাহ শুরু হয়েছে। এর আগে মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একই প্ল্যান্টে ৬০,৫০০ টন কয়লা সরবরাহ করা হয়েছিল।
এছাড়া, আগামী ২৫ জুন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্যেও কয়লা পৌঁছানোর কথা রয়েছে দেশে। কয়লা সংকটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জরুরি জ্বালানি প্রয়োজন মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি না করে স্বতন্ত্র কোম্পানিগুলোকে ঋণের মাধ্যমে ৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কয়লা আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে বার্ষিক এই সীমা ছিল ০.৫ মিলিয়ন ডলার।
যদিও সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকায় লোডশেডিং পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
পেট্রোবাংলার বকেয়া ৪৬৭ মিলিয়ন ডলার
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানির উৎপাদন ছাড়াও, পেট্রোবাংলা শেভরনের কাছ থেকে গ্যাস ক্রয় করে; বিবিয়ানা ও জালালাবাদ ক্ষেত্র থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ করে শেভরন। এছাড়া, কাতার ও ওমান থেকে এবং স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কেনে পেট্রোবাংলা।
দেশে মোট স্থানীয় উৎপাদনের ৬২ শতাংশ এবং মোট গ্যাস ব্যবহারের ৪৩ শতাংশই সরবরাহ করে আমেরিকান বহুজাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেভরন।
তবে গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শেভরনের কাছে পেট্রোবাংলার বকেয়া ২১৯ মিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পেট্রোবাংলার পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি কোম্পানি কাতারগ্যাসের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে এলএনজি আমদানি বাবদ ৬৯.০৭ মিলিয়ন ডলার এবং ওমানের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডের কাছে ৫৪.৬৬ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে পেট্রোবাংলার।
দীর্ঘমেয়াদী বকেয়া ছাড়াও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয় বাবদ বকেয়া রয়েছে ১১৩.৮২ মিলিয়ন ডলার।
মোট বকেয়া বিলের মধ্যে প্রায় ১৬৮.৪৮ মিলিয়ন ডলার জনতা ব্যাংককে নিষ্পত্তি করতে হবে; ৭৬.৭৮ মিলিয়ন ডলার অগ্রণী ব্যাংককে এবং ৩.৫৪ মিলিয়ন ডলার নিষ্পত্তি করতে হবে আইএফআইসি ব্যাংককে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে এই বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা চেয়েছে পেট্রোবাংলা।
বিপিসির বকেয়া ২৩৫ মিলিয়ন ডলার
প্রতিমাসে ৮ আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী- কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে প্রায় ০.৫ মিলিয়ন টন পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
এরমধ্যে, ৬ জুন পর্যন্ত ছয়টি পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারীর কাছে বিপিসির বকেয়া ঠেকেছে ২৩৪.৯৩ মিলিয়ন ডলারে।
পাওনাদারদের মধ্যে চাইনিজ ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেডের কাছে ৪০.১৭ মিলিয়ন ডলার, ভিটলের কাছে ৯৯.৬৭ মিলিয়ন, এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেডের (ইএনওসি) কাছে ৮.৮২ মিলিয়ন ডলার, আইওসিএল-এর কাছে ৫.৩৯ মিলিয়ন ডলার, ইন্দোনেশিয়া পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো (বিএসপি)-এর কাছে ৫৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার এবং মালয়েশিয়ান পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি লিমিটেডের কাছে ২৩.৯৯ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে বিপিসির।
এই বকেয়া পরিশোধে বিপিসি জনতা ব্যাংকের কাছে ১০০.০৯ মিলিয়ন, অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৩৭.৬২ মিলিয়ন, সোনালী ব্যাংকের কাছে ৪৪.০২ মিলিয়ন এবং রূপালী ব্যাংকের কাছে ৫৩.২০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে।
জ্বালানির জন্য এলসি খুলতে অনিচ্ছুক ব্যাংকগুলো
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে প্রতিমাসে প্রায় ৬ লাখ টন অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত জ্বালানি আমদানির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে অন্তত ১৭ থেকে ১৮টি এলসি খুলতে হয়।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক- ওয়ান ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক বাংলাদেশ- জ্বালানি আমদানির জন্য এলসি খুলছে না।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার টিবিএসকে বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি আমদানির জন্য বিপিসি'র লেটার অব ক্রেডিট খুলছি। তবে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ডলারের অবস্থার উন্নতি হলেই আমরা এই প্রক্রিয়া আবার শুরু করব।"
এদিকে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকও জ্বালানির জন্য একাধিক এলসি খোলার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জ্বালানি বিভাগের সচিবকে লেখা চিঠিতে বিপিসি বলেছে, অগ্রণীর ব্যাংকের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এলসি খোলা থেকে বিরত থাকলে জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা জটিলতায় পড়তে পারে।
বকেয়া পরিশোধের তাগিদ দিচ্ছে সরবরাহকারীরা
গত ২৬ মে ইস্যু করা এক চিঠিতে পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি লিমিটেড (পিটিএলসিএল) বিপিসিকে লিখেছে, ২৫ এপ্রিল সরবরাহকৃত কার্গোর জন্য ২৭.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান বাকি রয়েছে সংস্থাটির।
পিটিএলসিএল বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও বিপিসি এবং তার ব্যাংক (যে ব্যাংক বিপিসির এলসি ইস্যু করেছিল) তা উপেক্ষা করে যাচ্ছে। এমনকি, পিটিএলসিএল'র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার পরেও বকেয়া পরিশোধ না করার কারণ কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যাও তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
এছাড়া, গত ১৭ মে সরবরাহকৃত কার্গোর জন্য ২৩.৯ মিলিয়ন ডলারও পরিশোধ করা হয়নি পিটিএলসিএলকে।
পূর্বের দেনা পরিশোধ না করায় বিপিসি-কে কার্গো ৩- এর সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পিটিএলসিএল। গত ২০-২২ মে'র মধ্যে এটি ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল।
চিঠিতে পিটিএলসিএল জানিয়েছে, বিপিসি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় দুর্ভাগ্যবশত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিটিএলসিএল। এই পরিস্থিতি পিটিএলসিএলকে ভবিষ্যতের ব্যবস্থা এবং চালানের বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চিয়তার ক্ষেত্রে এক অনিশ্চিত অবস্থানের দিকে ঠেকে দিয়েছে।