রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে ডলার রেট বাড়িয়ে ১১০ টাকা নির্ধারণ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতার মধ্যে রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় এবং আমদানি নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলো আবারও ডলার রেট ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের জন্য ডলার রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। আমদানি নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
রোববার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম টিবিএসকে বলেন, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংকগুলোতে নতুন হার কার্যকর হবে।
এর আগে ৩১ আগস্ট রেমিটেন্সের জন্য ডলারের দর ৫০ পয়সা ও রপ্তানি আয়ের বেলায় ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় উন্নীত করা হয়। আমদানি নিষ্পত্তির বেলায় ডলার দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত এক বছর ধরে প্রতি মাসে ডলার রেট নির্ধারণ করছে বাফেদা ও এবিবি। চলতি অর্থবছরে ডলারের দাম বেড়েছে তিনবার।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, কিছু ব্যাংকের এমডি রেমিটেন্স বাড়াতে গ্রাহকদের বিভিন্ন মূল্যে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে প্রস্তাবটি প্রবর্তন করা হলে ব্যাংকগুলোর মধ্যে রেমিটেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটি অন্যায্য প্রথা চালু হতে পারে বিধায় এটি গৃহীত হয়নি।
একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিবিএসকে বলেন, ডলারের দাম বাড়লে রেমিটেন্স বাড়ার কথা। "কিন্তু বাস্তবে, আমরা তা দেখছি না। এর একটি কারণ হল কিছু ব্যাংক উচ্চ ডলার রেটের কারণে বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছে। তবে, এখন ইনফরমাল চ্যানেলে ডলারের রেট বেশি। আমাদের ধারণা, হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স বাড়ছে।"
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হাসান টিবিএসকে বলেন, "রপ্তানি আয়ের ডলারের রেট বেড়েছে; এটা অবশ্যই আমাদের জন্য খুব ভালো খবর। তবে ডলারের দাম হওয়া উচিত বাজারভিত্তিক। আনুষ্ঠানিক ও বাজারভিত্তিক রেটের মধ্যে বড় ফারাক রয়েছে।"
ডলারের দাম বাড়লে রপ্তানির পাশাপাশি রেমিটেন্সও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১.০৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
আগস্টে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ১.৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২.৭৫% বেশি৷