মূল্যস্ফীতি ও তহবিল সংকটের মধ্যে টিকে থাকতে কর্মী ছাঁটাই করছে স্টার্টআপগুলো
তহবিল সংকট আর চড়া মূল্যস্ফীতিতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো। এই অবস্থায়, টিকে থাকতে এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাপক ব্যয়-সাশ্রুয় ও কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। শিল্পটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে তাঁদের বেতনভুক্ত কর্মী সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। তাদের মতে, ফ্রিল্যান্সারদের বাদ দিয়ে মাত্র এক বছরের মধ্যে কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৩৫ হাজারে নেমে এসেছে।
দুই বছর আগে দেশের মহানগরগুলোর বাইরেও কিছু জেলা ও ছোট শহরে তাঁদের কার্যক্রম বিস্তার করেছিল ই-কমার্সে মুদিপণ্য ব্যবসার অগ্রদূত চালডাল ডটকম। কিন্তু, জ্বালানি ও পণ্যদ্রব্যের অনেকটাই দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু এলাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছে। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা আগের মতো পর্যাপ্ত অর্ডার দিচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিকে এই উদ্যোগে আর্থিক লোকসান গুনতে হয়, এবং পরে এসব এলাকায় কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।
কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়াসিম আলিম বলেন, সংকটের আগে চালডাল- এর কর্মী ছিল প্রায় ৩ হাজার ২০০ জন, ছাঁটাই করার পরে যা ২ হাজার ৩০০ জনে নেমে এসেছে।
এমনকি দ্রুতবর্ধনশীল কিছু স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান, যারা প্রায় প্রতিমাসেই কর্মী নিয়োগ করতো, তারাও নিয়মিত বিরতিতে পর্যায়ক্রমে কর্মী ছাঁটাই করেছে– বেতন বাবদ ব্যয় কমাতে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তহবিল সংকট দেখা দেওয়ার আগপর্যন্ত, ই-কমার্স ও মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতারা-সহ ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি স্টার্টআপে মোট ৫০ হাজারের কাছাকাছি কর্মী ছিল বলে জানান ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন।
আগের কর্মী সংখ্যা এ খাতে হওয়া উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির প্রমাণও ছিল, ফলে মাত্র দুই থেকে তিন বছরে চাকরির সুযোগ চারগুণ হয়েছিল।
পরামর্শক সংস্থা– লাইটক্যাসেল পার্টনার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোয় ১২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়। কিন্তু, ২০২৩ সালে তা ৭২ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সে তুলনায়, ২০২১ সালে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল বিনিয়োগ। এসময় মোট ৪৩২ মিলিয়ন ডলার পায় এদেশের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো, যারমধ্যে বিকাশ- এ সফটব্যাংকের করা ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
তবে এবছরের মার্চ থেকেই ১০ শতাংশের কাছাকাছি উচ্চ হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, ফলে ভোক্তাদের ব্যয়ও কমিয়ে কোমড়ের বেল্ট আঁটো করতে হয়েছে। আর তাতেই আগের মতো বেচাবিক্রির পরিমাণ ধরে রাখা ব্যবসাগুলোর জন্য দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি)-র চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, গত দেড় বছরে তহবিল বা বিনিয়োগ পাওয়া স্টার্টআপের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করছে না। এমনকি দেশের যেসব স্টার্টআপের জোরালো প্রবৃদ্ধি ও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরও একই অবস্থা।
ফলস্বরূপ; গুটিকয় কিছু কোম্পানি বাদে– বেশিরভাগ বিকাশমান স্টার্টআপকে হয় তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হয়েছে, নাহলে টিকে থাকার জন্য ব্যয় কমাতে হয়েছে– প্রত্যাশিত তহবিলের অভাবে।
ভিসিপিইএবি-র একজন পরিচালক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিশেষজ্ঞ শওকত হোসেন বলেন, ২০২২ সালে বৈশ্বিক আর্থিক বাজার যখন সংকোচনমূলক চক্রে প্রবেশ করে এবং স্টার্টআপে বিনিয়োগকারীরা সংরক্ষণমূলক অবস্থান নেয়– তখন প্রযুক্তি শিল্পের কর্মসংস্থান সৃষ্টিও তাতে উল্টো ধারায় চলে যায়।
তাঁর হিসাবে, ফ্রিল্যান্সার বাদে স্টার্টআপ খাতের বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা এরমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ কমে ৩৫ হাজারে নেমেছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শেবা প্ল্যাটফর্মের কথা। শেষমুহূর্তে এসে একটি বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থা পিছু হঠায় – দেশের সর্ববৃহৎ এই কারিগরি ও উদ্যোক্তা সেবা অর্ডারের প্ল্যাটফর্মকে – গত বছরে তাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়।
তীব্র তহবিল সংকটে ৫০০ জনের বেশি থেকে কর্মী সংখ্যা একশর'ও কমে নামিয়ে আনতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। তবে চলতি বছর স্থানীয় একটি বিনিয়োগকারীর সমর্থন পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেবা প্ল্যাটফর্ম। এখন তারা এসএমই সলিউশনস প্যাকেজ অ্যাপের মাধ্যমে লক্ষণীয়ভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। এজন্য ২৫০ জনেরও বেশি কর্মচারী নিয়োগও করেছে।
শেবা'র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদনান ইমতিয়াজ হালিম টিবিএসকে জানান, বর্তমানে তাঁর কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন ৩৩০ জন। আগামী বছরে আরও ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিখাতের বিশিষ্ট উদ্যোক্তা এবং দেশে শীর্ষ চাকরির তথ্যপরিবেশক পোর্টাল বিডিজবস – এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও – এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, বেশিরভাগ অন্যান্য দেশের তুলনায় – এদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এক্ষেত্রে নানান কৌশলের আশ্রয় নেয়।
স্বচ্ছ যোগাযোগের বদলে অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে ধাপে ধাপে তাঁদের কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়াও, কিছু কোম্পানি তাদের মোট কর্মী সংখ্যা প্রকাশের ক্ষেত্রে– নিজস্ব কর্মীদের সাথে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা যোগ করে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
স্টার্টআপ শিল্পের অভ্যন্তরীণরা জানান, শপআপ ও ফুডপান্ডা-সহ উল্লেখযোগ্য কিছু স্টার্টআপ ছেড়ে আসা নির্বাহীদের থেকে এই বছরে চাকরিদাতারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চাকরির আবেদন পান। চলতি বছরজুড়েই এই প্রবণতার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। অথচ মহামারির সময়ে হাজার হাজার ব্যক্তির জন্য আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হয়েছিল এসব প্ল্যাটফর্ম।
চাকরির গোপনীয়তা চুক্তির কথা উল্লেখ করে– নাম না প্রকাশের শর্তে এমন অন্তত এক ডজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী টিবিএসের সাথে কথা বলেছেন। তাঁরা জানান, গত ১৫ - ১৭ মাসে এ দুটি স্টার্টআপ তাদের প্রত্যক্ষ কর্মীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে। ধাপে ধাপে তারা এটি করেছে।
বিদেশে মূল মালিকানা (প্যারেন্ট) প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার তথ্য সরবরাহ করে এ দুটি কোম্পানি। বাজার নিয়ন্ত্রকদের কাছে প্যারেন্ট কোম্পানির দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে শপআপ ও ফুডপান্ডা মোট ৬৫০ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে।
এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি ফুডপান্ডা। তবে উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের দাবিটি সঠিক নয় বলে স্টার্টআপ খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানায় শপআপ। বরং, শপআপ দাবি করে, ২০২৩ সালে তাঁদের রাজস্ব প্রায় ছয়গুণ বেড়ে ৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রাখে তাদের বি-টু-বি সেগমেন্ট এ পাইকারি পণ্যদ্রব্য ব্যবসা। কর, অবচয়ের আগে তাঁদের ব্যবসার সবখাতই মুনাফায় রয়েছে বলেও জানায়।
তবে তাদের অফিস ফ্লোর স্পেস এরমধ্যেই কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে, যা কর্মী ছাঁটাইয়ের দাবির সাথেই বেশি সাদৃশ্য রাখে।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফুডপান্ডা ও শপআপের অফিস স্পেস ছিল পাঁচ থেকে সাত তলা নিয়ে বিস্তৃত। উভয় প্রতিষ্ঠান এখন তাঁদের অফিস স্পেস এক ফ্লোরে গুটিয়ে এনেছে।
এছাড়া, এ বছরের এপ্রিলে শপআপ তাঁদের থার্ড পার্টি লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠান– রেডএক্স-এর ডেলিভারি কর্মীদের জন্য প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফ্রিল্যান্সার মডেল ঘোষণা করেছে। অভ্যন্তরীণরা টিবিএসকে জানান, এটি ২ হাজারের বেশি কর্মীর টিম ছিল।
থার্ড পার্টি লজিস্টিকস সেবাদাতা – পেপারফ্লাই চরম তহবিল সংকটের মধ্যে গত বছর তাদের ভারতীয় বিনিয়োগকারীর থেকে ঘোষিত দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পায়নি। ফলে এবছরের সেপ্টেম্বরে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়, এসময় তাঁদের কর্মী সংখ্যা ছিল ৭০০ জন। পরে নভেম্বরে আবারো সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
শামীম আহসান বলেন, বিনিয়োগের আমূল বদলে যাওয়া এই প্রেক্ষাপটের মধ্যে প্রতিটি স্টার্টআপকেই তাদের প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতি মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগের সময়ে এই প্রাধান্য ছিল ব্যবসার দ্রুত বিকাশ বা সম্প্রসারণে।
তিনি বলেন, 'ব্যবসার কঠিন সময়ে– অফিস ও বেতন বাবদ ব্যয় কমানো ব্যয় সংকোচনের উল্লেখযোগ্য একটা কম্পোনেন্ট।"
২০২৩ সালে মাত্র কিছুসংখ্যক বিদ্যমান স্টার্টআপ প্রকৃত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। শেবা প্ল্যাটফর্মস, রাইড-শেয়ারিং স্টার্টআপ- পাঠাও এবং স্মার্ট লজিস্টিক ফার্ম স্টিডফাস্ট এর মতোন অন্যান্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
ই-ক্যাবের শাহাব উদ্দিনের মতে, প্রায় ২০০ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এবছর কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যা এখাতের কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে নেতিবাচক ধারা তা কিছুটা কমিয়েছে। নাহলে ২০২৩ সালে এই পতন আরও ব্যাপক হতো।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন পিছুটান দিয়েছেন, তখন অর্থায়নের ভার কিছুটা হলেও নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম- স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় টিকে রয়েছে বেশকিছু স্থানীয়, সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ।
তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিশেষজ্ঞ শওকত হোসেন বলেন, "এই অর্থায়ন আরও বড় হওয়া উচিত, বিশেষত গ্রোথ-স্টেজে থাকা স্টার্টআপগুলোর জন্য। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধণশীল অর্থনীতির পরিসরে তাদের আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে।"
'২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প রয়েছে সরকারের। এজন্য আগামী দুই দশকে ৫০টি স্থানীয় ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরিতে সহায়তা দিতে চায়, যেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশ ও নগদকে দুটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। ইউনিকর্ন স্টার্টআপ হলো তারাই যাদের বাজারমূল্যায়ন এক বিলিয়ন ডলারের বেশি।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের তথ্যমতে, এরমধ্যেই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে ১৫ লাখ মানুষের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সে তুলনায়, প্রতিবেশী ভারতে প্রায় এক লাখ স্বীকৃত স্টার্টআপ আছে, যাদের মধ্যে এক শতাধিক প্রতিষ্ঠান ইউনিকর্ন হয়েছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধণশীল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিণত হয়েছে। পাঁচ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে দেশটি তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসা সম্প্রসারণে যথেষ্ট গুরুত্বও দিচ্ছে।
তবে বৈশ্বিক তহবিল প্রবাহে টানাটানির কারণে ভারতের স্টার্টআপগুলোয় আগের বছরের তুলনায় বিনিয়োগ প্রায় ৬০ শতাংশ কমে– ২০২৩ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানা গেছে ইনক৪২ (Inc42)-র তথ্যসূত্রে।
এদিকে, প্রতিবছর স্টার্টআপ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আনার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। সেজন্য স্থানীয় স্টার্টআপগুলোর আরও সাফল্যের কাহিনি যেমন দরকার, তেমনি বিনিয়োগকারীরা সচরাচর যেসব বাধার সম্মুখীন হন- সেগুলোও দূর করতে হবে বলে মনে করেন– ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তারা।