ভিড় বাড়ছে রোজার পণ্য কেনাকাটায়, বিক্রেতারা বলছেন বিক্রি এখনও আগের বছরের চেয়ে কম
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া রোজা উপলক্ষে মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে শুরু করেছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে সেভাবে ভিড় চোখে না পড়লেও আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজারে রোজার পণ্য কেনাকাটায় মানুষের বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে।
কারওয়ানবাজার সরেজমিনে ঘুরে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল, আটা, খেজুর, ফলমূল, পেঁয়াজ-রসুন, চিড়া-মুড়ি, গুড়সহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে দেখা যায়।
চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান মুদি দোকান হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজ থেকে কেনাকাটা করছিলেন। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'দুপুরে লাঞ্চের সময়ে রোজার প্রয়োজনীয় কেনাকাটগুলো করতে এসেছি।'
দামের বিষয়ে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যা বাড়ার, সেটা আগেই বেড়েছে, এজন্য এবারে নতুন করে ব্যবসায়ীদের বাড়ানো দরকার পড়ছে না।
বেলা ১২টার পর থেকেই বড় এই বাজারে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এখনও অন্যান্য বছরের মতো বেচাবিক্রি হচ্ছে না। বিক্রি অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ কম।
বিক্রেতারা বলছেন, দুই কারণে মানুষ এবার কিছুটা কম কম পণ্য কিনছে—বাড়তি দাম ও সচেতনতা।
মেসার্স সোলাইমান ট্রেডার্সের বিক্রেতা মো. সোলাইমান বলেন, 'মানুষের ভিড় বাড়ছে, বিক্রিও হচ্ছে। তবে সেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। মানুষ একটু কম কম কিনছে।'
একই দোকানে কেনাকাটা করছিলেন শারমিন আক্তার। তিনি বললেন, 'মানুষ কেন কেনাকাটা কম করবে না। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে করে সংসার চালানো মুশকিল।'
এদিকে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, চিনি ১৪৫ টাকা, কাচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা কেজি, বোতলজাত ১৬৩ টাকা লিটার, ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে মুড়ি, ২০০ টাকা দরে গুড়, ২৩০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি, ৭৮০-৮০০ টাকায় গরুর মাংস, ৪৫০-৫০০ টাকা দরে সাধারন মানের খেজুর, ৮০ টাকা দরে বেগুন ও শসা, ৪০-৮০ টাকা হালিতে লেবু, ১০০ টাকা কেজি দরে মিষ্টি বড়ই, ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ, ৬০-১০০ টাকা দরে পেঁয়ারা বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে।