বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে কারণ দেশ সঠিক পথে আছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে কারণ বিশ্বব্যাংক মনে করে দেশ সঠিক পথে রয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে এমন সমালোচনার জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
'এটি একটি জনবান্ধব বাজেট। অনেকে বলে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। কোথায় দেউলিয়া হয়েছে? বিশ্বব্যাংক বলেছে বাংলাদেশ ভালো আছে। [সে কারণে] তারা আমাদের ঋণ দিচ্ছে,' বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আয়োজিত 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জাতীয় বাজেট ২০২৪–২০২৫' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট এখনও সংসদে পাস না হওয়ায় বাজেট প্রস্তাবের পুনর্বিবেচনার এখনও সুযোগ রয়েছে।
গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বক্তৃতায় তিনি বলেন, 'কৃষি বাংলাদেশের প্রধান খাত। কৃষি না থাকলে বিপর্যয় হবে। ঈদুল আজহায় এক কোটির বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। সব পশুই আমাদের দেশের। এটাও অর্থনীতির একটা সূচক।'
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম প্রস্তাবিত বাজেটকে 'সাহসী' বলে অভিহিত করেছেন।
'অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজেটের আকার আরও দুই লাখ কোটি টাকা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবারের বাজেট ছোট রাখতে হয়েছে। তবে জনগণকে খুশি রাখতে বড় বাজেটের প্রয়োজন। অতএব, এটাকে সাহসী বাজেট বলতে হবে,' তিনি বলেন।
তিনি মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আমদানি নীতি সহজ করার আহ্বান জানান।
'কখনও কখনও আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে ২–৩ মাস সময় লাগে। এ সময়ে পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। যখন চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ব্যবধান থাকে, তখন এটি সিন্ডিকেটের পথ প্রশস্ত করে,' তিনি বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সরকার আগামী বছর থেকে স্থায়ী দোকানে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা করছে। সরকার সেই লক্ষ্যে ডিলারের সংখ্যা বর্তমান সাত হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার করার পরিকল্পনা করেছে।
বর্তমানে এসব পণ্য টিসিবির ট্রাক এবং নির্ধারতি বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে এক কোটি পরিবারের কাছে বিক্রি করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এমনটা করলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে।