২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৫.৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস মাস্টারকার্ডের
মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট (এমইআই) বাংলাদেশের অর্থনীতির এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮ শতাংশ, আর আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যা হবে ৫.৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার চেয়ে বেশি হওয়ারই অনুমান করেছে সংস্থাটি।
অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার ফলে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশ হবে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৫.৭ শতাংশ হওয়ার অনুমান করছে দাতাসংস্থাটি।
অন্যদিকে, আগের পূর্বাভাস সংশোধন করে কমিয়ে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৭ শতাংশ হবে বলে জানায় আইএমএফ।
@অর্থনীতির যেসব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে এমইআই
বাংলাদেশের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট। এগুলো হলো:
- দুর্বল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা
- ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার ক্রয়সক্ষমতা হ্রাস
- এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার আরও বাড়ালে– বাংলাদেশের বাহ্যিক খাতের দুর্বলতা তাতে আরও বাড়বে
এমইআই মনে করে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে বেড়ে ৯.৮ শতাংশ হবে গড় মূল্যস্ফীতির হার। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমে ৮ শতাংশে নামতে পারে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যান বলেন, "চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার কমাতে পারে। এমনটা হলে তা বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদই হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্সের প্রবাহও বাড়ছে। তবে একইসঙ্গে আমদানি ব্যয়ও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।"
মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, "বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের ২০ শতাংশ মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে আসছে। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো– গত মে মাসে মুদ্রা বিনিময় হারের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হওয়ার পাশাপাশি (ডলারের) বিনিময় দরের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দরের সামঞ্জস্যতা বৃদ্ধির ঘটনা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে অবদান রেখেছে।"