ট্রাম্পের আদেশের পর অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সব কর্মসূচি স্থগিত ইউএসএআইডির
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বাস্তবায়নাধীন সব চুক্তি, কার্যাদেশ, মঞ্জুরি, সহযোগিতামূলক চুক্তি বা অন্যান্য প্রকল্পের সব ধরনের কর্মসূচি বন্ধ বা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল শনিবার ইউএসএআইডি বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রায় সব বিদ্যমান বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত এবং নতুন সহায়তা প্রদান বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়। এ সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ মেমো কর্মকর্তাদের এবং বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাসগুলোতেও পাঠানো হয়। মেমোটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর জারি করা হয়। ওই আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির কার্যকারিতা ও সামঞ্জস্য পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত ৯০ দিনের জন্য সব বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা স্থগিত থাকবে। তবে এ আদেশের পরিসর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইউএসএআইডি এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ট্রাম্পের সহায়তা স্থগিত করে আদেশের কারণে এর প্রভাব বিভিন্ন খাতে পড়তে শুরু করেছে।
ইউএসএআইডি তাদের তহবিল স্থগিতের বিষয়ে একটি চিঠিতে ট্রাম্পের সম্প্রতি জারি করা নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান, কোঅপারেটিভ চুক্তির অধীনের সরাসরি ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশে বাস্তবায়নকারী অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করেছে।"
বাংলাদেশ মার্কিন তহবিলপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকল্পের অংশীদার। এর মধ্যে মার্কিন-অনুদানপ্রাপ্ত অনেক এনজিও রয়েছে। তারা এ আদেশের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব বিদ্যমান বিদেশি সহায়তার জন্য "স্টপ-ওয়ার্ক" আদেশ জারি করেছে। ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রনীতির সাথে সহায়তার বরাদ্দের সঙ্গতি পর্যালোচনা করার জন্য নতুন সহায়তাও স্থগিত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশী সহায়তা দপ্তর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং মিশরের জন্য সামরিক অর্থায়নের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে প্রতিবেদনে আর কোনো দেশের কথা বলা হয়নি।
এ পদক্ষেপটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। ২০২৩ অর্থবছরে দেশটি ৭২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনার পর বিধি অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বিদেশী সহায়তা পরবর্তীতে দেওয়া হবে।"
এতে আরও বলা হয়েছে, রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিদেশী সহায়তাগুলো বন্ধ করার নির্দেশনাও অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।