যেভাবে বিভিন্ন অনুপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ইউসিবির ঋণ
আরামিত লিমিটেডের প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) তার নাম ২৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে জেনে তিনি আকাশ থেকে পড়েন। তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আর ব্যাংকটি একই প্রভাবশালী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
ফরমানের অন্য কোনো ব্যবসা নেই। তিনি জানতে পারলেন, ভিশন ট্রেডিং নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে ওই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। এ কোম্পানির মালিক হিসেবে কাগজপত্রে তার নাম রয়েছে।
১৮০ দিন মেয়াদে দেওয়া ওই ঋণ এক হাজার ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অপরিশোধিত রয়ে গেছে।
ইউসিবি-এর প্রধান কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এ ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা ক্রমশ মিইয়ে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাইফুজ্জামান ও তার পরিবারের অধীনে ব্যাংকটি যেভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
'তারা বিভিন্ন দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান কেবল কাগজকলমে রয়েছে,' বলেন এ কর্মকর্তা।
ইউসিবি-এর ঋণপত্র নিয়ে টিবিএস-এর তদন্তে আর্থিক অব্যবস্থাপনার একটি সমস্যাজনক ধারা উঠে এসেছে। পর্যালোচনা করা নথিগুলোর মধ্যে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: ব্যাংকটির কারওয়ান বাজার শাখা এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টস (বিডি) লিমিটেডকে ৪০০ কোটি টাকার বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়েছে।
ঋণের উদ্দেশ্য ছিল ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি নদী ড্রেজিং প্রকল্পের অর্থায়ন। তবে এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টসের কার্যাদেশ অভিজ্ঞতা ও যথাযথ সরঞ্জাম অভাবের মতো উল্লেখযোগ্য ঘাটতির কারণে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়।
ব্যাংকিংয়ের প্রমিত নিয়ম হচ্ছে, কার্যাদেশের বিপরীতে পর্যায়ক্রমে ঋণ বিতরণ করা। কিন্তু এক্ষেত্রে ইউসিবি এ নিয়ম না মেনে ঋণের ৭০ শতাংশ অগ্রিম ছেড়ে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এখন ব্যাংকটির ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা প্রভাবশালী ও পারিবারিক সংযোগের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টসের মালিক মোহাম্মদ আদনান ইমাম এসআরবিসি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানও। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদনানের কথিত বন্ধু, ইউসিবি'র নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী এডব্লিউআর-এর ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন।
আনিসুজ্জামান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ছোট ভাই, যার স্ত্রী রুকমিলা জামান চৌধুরী ইউসিবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউসিবি বোর্ডের বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টসকে মোট ৩১টি ঋণ দেওয়া হয়েছিল, যার বর্তমান বকেয়া ৭৫৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কয়েক বছর ধরে আদায় না হলেও ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বারবার বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আনিসুজ্জামান টিবিএসকে বলেন, এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টস একটি স্বনামধন্য কোম্পানি এবং ঋণটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম-কানুন মেনে ইস্যু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচালকেরা ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দিয়েছিলেন। এছাড়া অতিরিক্ত কোম্পানির গ্যারান্টি ও মর্টগেজও ছিল।
তবে আনিসুজ্জামান এডব্লিউআর-এর কার্যাদেশ কেন বাতিল হলো বা কেন তিনি ঋণ পরিশোধ করেননি সে বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আলম ফেরদৌসের সঙ্গে ফোন ও ক্ষুদেবার্তায় একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইউসিবি'র নন-পারফর্মিং লোন ২০১৭ সালের এক হাজার ৭৯২ কোটি টাকা থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে দুই হাজার ৭৮২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন পরিদর্শক বলেন, খারাপ ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক দুর্বল প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ পরিশোধ করেনি কিন্তু ব্যাংকের বোর্ড থেকে নিয়মিত ঋণ এক্সটেনশন পাচ্ছে।
কর্পোরেট ঋণ
জুন ২০২৪-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউসিবি-এর কর্পোরেট বিভাগে প্রায় এক হাজার গ্রাহক রয়েছে এবং সুদে-আসলে ব্যাংকটির প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ঋণ রয়েছে।
এর মধ্যে আমদানি-পরবর্তী অর্থায়নে ৩২ জন গ্রাহকের তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৬৭০ কোটি টাকা।
তা সত্ত্বেও চার বছরের বেশি সময় ধরে অনেক ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এসব এক্সটেনশন না থাকলে এসব গ্রাহক অনেক আগেই খেলাপি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হতো।
এছাড়া দুই হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা ঋণের ১১৮ জন গ্রাহকের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৪২ গ্রাহকের দুই হাজার ৩২২ কোটি টাকা ঋণের ডেডলাইন পেছানো হয়েছে, এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বকেয়া ঋণের ৮৯ গ্রাহকের ডেডলাইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং কম্পোজিট ফ্যাসিলিটির ১৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা ঋণের ১৫৪ গ্রাহকের ঋণের বৈধতাও বাড়ানো হয়েছে।
কর্পোরেট ডিভিশনের সাবেক প্রধান তাজমিলুর রহমান বলেন, তারা শুধু ঋণের প্রস্তাব প্রসেস করেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন এসেছে বোর্ড থেকে।
তিনি আরও বলেন, তাদের ভূমিকা প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঋণ প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ঋণ অনুমোদনের কোনো কর্তৃত্ব তাদের ছিল না।
বারবার ঋণের ডেডলাইন বাড়ানোর বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ ইউসিবি কর্মকর্তা বলেছেন, এগুলো কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে হয়েছে।
'তবে কিছু ঋণ এমন ক্লায়েন্টদের মঞ্জুর করা হয়েছে যেগুলো ফিরে পাওয়া কার্যত অসম্ভব, তা পরিশোধের সময়কাল যতই বাড়ানো হোক না কেন,' স্বীকার করেন ওই কর্মকর্তা।
দুই ঋণে হিমশিম খাচ্ছে বনানী শাখা
এনআরবিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আদনান ইমাম এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের পরিবারের সঙ্গে যোগসাজশে ইস্যু করা দুটি ঋণ নিয়ে ইউসিবির বনানী শাখা হিমশিম খাচ্ছে।
এর মধ্যে আজান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের ঋণের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা এবং টিএসএন ট্রেড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের ঋণ ২৬০ কোটি টাকা।
ইউসিবি-এর বোর্ডের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, আজান ট্রেডিং-এর ৩১টি লোন অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার সবকটিরই পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছে বোর্ড। টিএসএন ট্রেড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অনুরূপ পাঁচটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, এসব ঋণের জামানত ১০ কোটি টাকার কম। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে, কিন্তু জামানত দেখানো হয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার জমি।
শাখা কর্মকর্তারা জানান, এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৮৬০ কোটি টাকা ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা খুবই কম।
ইনফ্লেটেড কোম্পানি
ইউসিবির প্রগতি সরণি শাখায় এসএস স্টিল লিমিটেড এক বছর পর ৫০ কোটি টাকা ঋণ পায়। কিন্তু শীঘ্রই আরও ৩০০ কোটি টাকা চায় এটি। প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত হলেও প্রধান কার্যালয় ২৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে।
শাখা কর্মকর্তারা এ ঋণের পেছনে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সংযোগ ও জাল কাগজপত্রের অভিযোগ করেছেন, যদিও সালমানের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল ব্যাংকেরও গ্রাহক এসএস স্টিল তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ ছাড়াই ৭০০ কোটি টাকা নিয়েছে। সাম্প্রতিক মূল্যায়নে দেখা গেছৈ, এটি যে কারখানাটি অধিগ্রহণ করেছে তার মূল্য ছিল ২৫ কোটি টাকা, যদিও পূর্বে ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যায়ন দেখানো হয়েছিল।
ইউসিবি'র কাওরান বাজার শাখায় বাংলা ইউকে এগ্রো লিমিটেডকে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়, যদিও প্রতিষ্ঠানটির পাওয়ার কথা মাত্র ৫০ কোটি টাকা। একইভাবে ফুলপুর এগ্রো মাত্র পাঁচ কোটি টাকার যোগ্য হয়েও ২০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে।
কাগুজে ও অযোগ্য সংস্থাগুলোকে বড় ঋণ
ইউসিবি-এর কারওয়ান বাজার শাখার কর্মকর্তারা বলেছেন, টেকসোল ইঞ্জিনিয়ারিং, এএইচ এন্টারপ্রাইজ, জুভেন্টাস ইন্টারন্যাশনাল, আইটিএস জুভেন্টাস, গ্রুপ সিক্স, জি সিক্স ইন্টারন্যাশনাল, বাংলা ফার্ম হাউস, খন্দকার ইন্টারন্যাশনাল এবং অলোক ইন্টারন্যাশনালের মতো কেবল কাগুজে কোম্পানিগুলোতে বড় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
তারা দাবি করেছেন, বোর্ড ন্যূনতম সরেজমিন যাচাইবাছাইয়ের বরাতেই এসব ঋণ অনুমোদনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়েছিল।
এছাড়াও চট্টগ্রামের ইউসিবির খাতুনগঞ্জ শাখার বিরুদ্ধে এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল (৮০ কোটি টাকা), এমিনেন্ট ট্রেডার্স (২০ কোটি টাকা), আবসার অ্যান্ড সন্স (২০ কোটি টাকা) এবং ফরচুন এন্টারপ্রাইজ (১১ কোটি টাকা)-এর মতো কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার বিষয়েও অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তারা।
অটো ট্রান্স (১৬.৫ কোটি টাকা), ক্রিস্টাল এন্টারপ্রাইজ (২০ কোটি টাকা), এক্সেলেন্ট টেক্সটাইল (৮ কোটি টাকা), প্রগ্রেসিভ ট্রেডিং (৪ কোটি টাকা), আরএন ইন্টারন্যাশনাল (৯ কোটি টাকা), রোজ ট্রেডিং (১১ কোটি টাকা) এবং রাড ক্রিয়েশন (ছয় কোটি টাকা)-এর মতো এ ধরনের বিভিন্ন কোম্পানির তালিকা রয়েছে টিবিএস-এর কাছে।
চট্টগ্রাম বন্দর শাখা ভিশন ট্রেডিং (৩০ কোটি টাকা), জিএইচএম ট্রেডার্স (ছয় কোটি টাকা), বিএইচ কর্পোরেশন (৭.৪৪ কোটি টাকা), রিলায়েবল ট্রেডিং (২১.৫৬ কোটি টাকা), তাশিন পোল্ট্রি (১৩.১৩ কোটি টাকা), ক্যাটস আই কর্পোরেশন (৮.২৫ কোটি টাকা) ও জাকির ট্রেডার্সকে (১১.৩৪ কোটি টাকা) ঋণ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকের বোর্ড মেমো অনুসারে, এসব ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ না করেই ডেডলাইন বাড়ানোর সুবিধা পাচ্ছেন।
বউয়ের প্রস্থান, বোনের প্রবেশ
ইউসিবি প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই পরিবারের সদস্যরা ব্যাংকের নেতৃত্ব দেন। ২০১৭ সালে পারটেক্স পরিবারকে ব্যাংকটি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং সাইফুজ্জামানের স্ত্রী রুকমিলা চেয়ারপারসন হন।
তবে ইউসিবি কর্মকর্তাদের দাবি, কার্যত সাইফুজ্জামান ব্যাংক পরিচালনা করেছেন।
কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারের বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠানো সাম্প্রতিক একটি চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, রুকমিলা চেয়ারপারসন থাকলেও সাইফুজ্জামান ব্যাংকটি পরিচালনা করেছিলেন এবং 'স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের কারণে' এটিকে দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
টিবিএস-এর কাছে থাকা চিঠিটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে সাইফুজ্জামানের যুক্তরাজ্যে এক হাজার ৮৮৮ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে, যা তিনি ব্যাংকের আমানত লুট করে তৈরি করেছেন।
এদিকে রুকমিলার স্থলাভিষিক্ত হয়ে চলতি মাসেই ইউসিবি'র নতুন চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়োগ পান রোকসানা জামান চৌধুরী। তিনি সাইফুজ্জামানের বোন।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ-এর সাইফুজ্জামান ও রুকমিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশের মাঝে ব্যাংকটির নেতৃত্বের পরিবর্তন এল।