এসআইবিএলের ১৮ লাখ শেয়ার কিনবেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে ব্যাংকটির ১৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ডিএসইর মাধ্যমে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, সুলতান মাহমুদ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যাংকটির এসব শেয়ার কিনবেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এসআইবিএলের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৯.৮০ টাকায়, যা ডিএসইর আগের সেশনের তুলনায় ৪.৮৫ শতাংশ কম।
এসআইবিএলের শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষে সুলতান মাহমুদের কাছে ব্যাংকটির ১.৯১ কোটি শেয়ার ছিল, যা মোট শেয়ারের ১.৬৮ শতাংশ।
এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করে। ২০১০ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুলতান মাহমুদ।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন—ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন।
তাদের মধ্যে ডা. রেজাউল হককে পরিচালক এবং বাকিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পরে নতুন পর্ষদ সাদিকুল ইসলামকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
২০১৭ সাল থেকে এসআইবিএল অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এসআইবিএলে বিশেষ করে নিয়োগ ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআইবিএলের বোর্ড ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গোপনীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ গোপন করেছে।
পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এসআইবিএলের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্টে খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমে এসআইবিএলের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন করে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটির মোট প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি সংরক্ষণ করতে পেরেছে ১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৬৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি দেখানো হয়েছে।