ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে আরএফসিডি সুদহার: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি)-এর সুদের হার নির্ধারণে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে আর সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর)-এর সীমা মেনে চলতে হবে না। পরিবর্তে ব্যাংক–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বা বাজারের হার অনুসারে এ ধরনের ডিপোজিটের সুদ নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জারি করা এক সার্কুলারে এ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে তফসিলি ব্যাংকের সকল অনুমোদিত ডিলার শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএফসিডি অ্যাকাউন্ট হলো এক ধরনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাসিন্দারা বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখতে এবং ব্যবহার করতে পারেন।
এ নতুন নির্দেশনার আগে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক রেট সোফর-এর ভিত্তিতে আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থের ওপর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ দিতে পারত।
বর্তমান সোফর হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হওয়ায় ব্যাংকগুলো আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে পারত।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং প্রধান নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর সার্কুলারের মাধ্যমে আমানতের সুদ ও ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে চাইছে না।
তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন এসব বিষয় বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে চায়।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টের আমানত মূলত চলতি আমানত। 'এসব ডলার গ্রাহক যেকোনো সময় উত্তোলন করতে পারেন। বর্তমানে চলতি হিসাবের অর্থের ওপর একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ পেয়ে থাকেন।'