যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি রেটের ভিত্তিতে ডলারের ফরোয়ার্ড মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ
এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে ফরোয়ার্ড মূল্যে ডলার কেনাবেচা করার ক্ষেত্রে দর নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি রেট বা ফেডারেল ফান্ড রেটকে বিবেচনায় নিতে হবে।
আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে নিয়মতান্ত্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ব্যাংকগুলো ফরোয়ার্ড বিনিময় হার বা ফরোয়ার্ড মূল্যে আলোচিত পলিসি রেটগুলোর চেয়ে বেশি প্রিমিয়াম নিতে পারবে না। এসব পলিসি রেট হলো– মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে ফেডারেল ফান্ড রেট, ইউরোর ক্ষেত্রে মেইন রেফারেন্সিং রেট, ব্রিটিশ পাউন্ডে ব্যাংক রেট, জাপানি ইয়েন- এ ওভারনাইট কল রেট, চীনের ইউয়ানে লোন প্রাইম রেট বা এলপিআর ইত্যাদি।
'উল্লেখিত ফরোয়ার্ড মূল্য ক্রয় ও বিক্রয়– উভয় ক্ষেত্রে ঘোষিত স্পট রেটের সঙ্গে প্রযোজ্য হবে। ফরোয়ার্ড চুক্তির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রকৃত মেয়াদের ভিত্তিতে প্রিমিয়াম সমন্বয় করতে হবে' - আরো বলা হয় সার্কুলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগে ব্যাংকগুলোকে ফরোয়ার্ড ডিল করার ক্ষেত্রে ট্রেজারি বিলের স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) হার বিবেচনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন স্মার্ট এর কোনো কার্যকারিতা না থাকায়— ব্যাংকগুলো ফরোয়ার্ড ডিলের প্রিমিয়াম নির্ধারণে সমস্যায় পড়ছিল। এসব কারণে ব্যাংকগুলোকে এখন নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলো এখন চাইলে যেকোনো সময়ের জন্য ফরোয়ার্ড ডিল করতে পারবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগের নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ৩ মাস ফরোয়ার্ডে ডলার কেনাবেচা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন থেকে চাইলে— যেকোনো সময়সীমার জন্য ফরোয়ার্ড ডিল করতে পারবে।