এস আলমের ঋণ কেলেঙ্কারি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তা দুদকে হাজির হননি, এবার ১৭ জনকে তলব
দেশের শীর্ষ খেলাপি এস আলম ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অনুসন্ধানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) তলব করা হলেও- তারা হাজির হননি।
এনিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাতের সই করা আরেক তলব চিঠিতে, তারাসহ মোট ১৭ জনকে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ফের হাজির হতে বলা হয়েছে। বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক আক্তারুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য চিঠি প্রেরণ করা হলেও ১৩ কর্মকর্তা হাজির হননি। একারণে পুনরায় হাজির হয়ে বক্তব্য/লিখিত বক্তব্য প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময় ও তারিখে হাজির হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগ সংক্রান্তে বর্ণিত কর্মকর্তাগণের কোনো বক্তব্য নেই মর্মে পরিগণিত হবে, এবং আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে তলব করা কর্মকর্তাদের হাজির না হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা টিবিএসকে বলেন, "আমাদের যেসব কর্মকর্তাকে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের ইস্যুতে দুদক থেকে ডাকা হয়েছে, তাদের কেউই এখনো চিঠি পায়নি। যার কারণে দুদকের কার্যলয়ে উপস্থিত হননি তারা।"
তিনি আরও বলেন, "তাদের কাছে চিঠি পৌঁছালে তারা অবশ্যই দুদকে হাজির হবেন।"
৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনীক তালুকদার, বেলাল হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম, এবং উপ-পরিচালক মো. জুবাইর হোসেন, মো. জিয়াউদ্দিন বাবলু, দেবাশীষ বিশ্বাস, খোরশেদুল আলম ও রুবেল চৌধুরীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
৯ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ন পরিচালক সৈয়দ এম আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান, শংকর কান্তি ঘোষ ও মো. আব্দুল রউফ এবং উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ ও পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে নতুন করে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুগ্ম পরিচালক বেলাল হোসেন, উপ-পরিচালক মো. জিয়াউদ্দিন বাবলু, দেবাশীষ বিশ্বাস এবং খোরশেদুল আলম।