১৯ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে বিএটিবি-কে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে স্কয়ার ফার্মা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন (বাজার মূলধন) র্যাঙ্কিংয়ে বিএটি বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
ইবিএল সিকিউরিটিজের মার্কেট রিভিউ অনুসারে, স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১২৯ কোটি টাকা, যা মোট ডিএসই বাজার মূলধনের ৫.৪ শতাংশ।
বিএটি বাংলাদেশ এখন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বিএটির বাজার মূলধন এখন ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজার মূলধনের ৫.২ শতাংশ।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিএটি বাংলাদেশের শেয়ারদর ৮ শতাংশ কমায় এর বাজার মূলধনও কমেছে। সে কারণেই প্রতিষ্ঠানটি স্কয়ার ফার্মার কাছে স্থান হারিয়েছে। গত সপ্তাহে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল, যা প্রতিষ্ঠানটিকে র্যাঙ্কিংয়ে উপরে উঠিয়ে আনতে পেরেছে।
এছাড়া স্কয়ার ফার্মার পরিচালকরা বাজার মন্দার সময় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ৭০ লাখ শেয়ার কিনে কোম্পানির স্টককে সহায়তা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি বাজারের বড় পরিসরের অস্থিরতার মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের দাম ছিল ২১২.৪০ টাকা এবং বিএটি বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ছিল ৩৪১.২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিএটি বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ছিল ৩৭৭.৫০ টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২০৮ টাকায়।
গ্রামীণফোন ৪২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। বাজার মূলধনের ক্ষেত্রে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ওয়ালটন ও রবি।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রথমবারের মতো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় কমেছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এ সময়ে স্কয়ার ফার্মা ১ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।
তবে বিনিয়োগ ও সহযোগী কোম্পানির আয়ের সুবাদে এ প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার মুনাফা ১.৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বিএটি বাংলাদেশ ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে সিগারেট বিক্রি থেকে ৩০ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা আয় করেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সরকারের কর পরিশোধের পর কোম্পানিটির নিট আয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
নয় মাসে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা—যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিএটি বাংলাদেশ আয় করেছে ৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং তাদের নিট আয় ছিল ২ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা সামান্য কমে ৩৯৭ কোটি টাকা হয়েছে।