সক্ষমতা বাড়াতে ২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিএটি বাংলাদেশ
দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক সিগারেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটি বাংলাদেশ) উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ২৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ বিনিয়োগ এটির নগদ প্রবাহ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভ্যন্তরীণ উৎস এবং ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে।
বিএটি বাংলাদেশ বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সবুজ পাতা মাড়াই কারখানা, মানিকগঞ্জে সবুজ পাতা শুকানোর কারখানা, এবং ঢাকা ও সাভারে সিগারেট উৎপাদন কারখানা পরিচালনা করছে।
একটি ত্রৈমাসিক আর্থিক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ৫০ হাজার ৩০৫ মিলিয়ন সিগারেট শলাকা এবং ৪.১৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম তামাক পাতা উৎপাদন করেছে।
২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিএটি বাংলাদেশ জানায়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মেটাতে তারা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি পণ্য রপ্তানি শুরু করে, যা কোম্পানিটির জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করেছে।
২০২১ সাল থেকে বিএটি বাংলাদেশ তাদের সাভার কারখানায় এক হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মেয়াদে সিগারেট রপ্তানি থেকে ১৫৫.৪৭ কোটি টাকা এবং তামাক পাতা রপ্তানি থেকে ২০৮ কোটি টাকা আয় করেছে এটি।
বিএটি বাংলাদেশের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ তামাক পাতা, তামাকের গুড়ো এবং সিগারেট রপ্তানির ক্ষেত্রে কৌশলগত সুবিধা ভোগ করছে। এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের ব্যয় প্রতিযোগিতা এবং উচ্চ গুণগত মানের পণ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে দেশের তামাক খাতেরও বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে বিএটি বাংলাদেশ সিগারেট বিক্রি থেকে ৩০ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। কর পরিশোধের পর নিট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
আর নিট মুনাফা ছিল এক হাজার ৩২২ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে প্রতিষ্ঠানটি আট হাজার ৫০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও নিট মুনাফা সামান্য কমে ৩৯৭ কোটি টাকায় নেমে আসে।
এদিকে, শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বিএটি বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ৩৫০.৫০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়।