ফিরে দেখা ২০২১: রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানিতে বাণিজ্যে নতুন আশা
লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং মহামারিজনিত অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও, চলতি বছর একমাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, অক্টোবরে রপ্তানি খাতে নির্ধারিত ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে দেশ। বার্ষিক ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে রপ্তানি আয়।
এছাড়া, একই মাসে পোশাকের চালান ৫৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট রপ্তানি আয় ১৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই-অক্টোবরের আয় গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্জিত ২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া, এই সময়ে প্রাপ্ত আয় নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩১.২৬ শতাংশ
এই অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে। এছাড়া, উভেন আইটেমগুলো লাভ করেছে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই ৫২ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরের আয় ছিল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভব হয়েছে এটি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৮ শতাংশ
কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এছাড়া, প্রকৌশল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে পড়ুন: ২০৩৬ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে আয় ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে।
পোশাক রপ্তানিকারকরা রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয়ের তুলনায় ইউনিটের দাম কম হওয়া নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।