পাটজাত পণ্য উৎপাদনে নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্য
পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা করে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন দেশের অনেক নারী। প্রথাগত চাকরির পেছনে না ছুটে অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন অনেকেই।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের প্রায় ১৩৫টি দেশে ২৮২টি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়।
বিগত ১২ বছরে বার্ষিক পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে চারবার।
বিগত বছরের তুলনায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
পাটের ব্যাগ ও থলে ইত্যাদির রপ্তানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ, অন্যান্য পণ্য ৫ শতাংশ এবং হাতে বাছাই করা পাটের আঁশ ও স্ট্যাপল ফাইবার রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ।
এ খাতের কয়েকজন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)। তাদের সাফল্যগাঁথা যাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
ব্যাংকার থেকে সফল উদ্যোক্তা ইসরাত
তুলিকার কর্ণধার
৩৫ বছর বয়সী ইসরাত জাহান চৌধুরীর জন্ম কুমিল্লায়। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা শিক্ষায় পড়াশোনা করে বেশ কয়েক বছর একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে মাঝে কাজ করেছেন ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে।
ভালো চাকরি করেও সন্তুষ্ট ছিলেন না ইসরাত। ২০১৬ সালে নিজের জমানো ৮০ হাজার টাকা পুজিঁ নিয়ে পাটজাত পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন। গড়ে তোলেন পাটজাত পণ্যের ব্র্যান্ড 'তুলিকা'।
২০১৫ সাল থেকে দুই বছর পাট ও পাট থেকে কীভাবে গুণগত পণ্য উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন এই নারী উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে পাট পণ্য তৈরি শুরু করেন। বছরের শেষেই পরিশ্রমের সুফল আসতে শুরু করে। পেয়ে যান একটি রপ্তানি আদেশ।
বর্তমানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ৫০ জনের বেশি কারিগর-শ্রমিক কাজ করে তার কারখানায়।
পাটের জ্যাকেট, জুতা, শাল,মানিব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ ও ল্যাপটপ ব্যাগ ইত্যাদি ২০ রকমের পণ্য বানিয়ে বছরে তার টার্নওভার ২ কোটি টাকার বেশি।
ইসরাত জাহান চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, "ব্যবসা শুরু করতে আমার অনেক বেগ পেতে হয়েছিল, নারী বলে অনেকেই প্রথমে এ ব্যবসায় নিরুৎসাহিত করেছিল। ২০১৭ সালের শেষের দিকে যখন একটি রপ্তানি আদেশ পাই তখন উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। পরিবারের অন্যরাও পাশে দাঁড়ায়।"
"এরপরে আরও দুটি রপ্তানি আদেশ পাই। তারপর থেকে আর পিছনে তাকে হয়নি। বর্তমানে আমার পাটজাত পণ্য আয়ারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডে রপ্তানি হয়।"
দেশে পাটের তৈরি পণ্যের বর্তমান বাজার চাহিদা জানতে চাইলে ইসরাত বলেন, "পাটকে আমরা চিনি বস্তা হিসেবে। পাটের জিনিস কিনতে গেলে অনেকেই বলে বস্তা কিনব!"
দেশীয় ক্রেতাদের মধ্যে পাটপণ্যের বিষয়ে জানাশোনা কম হওয়ায় দেশের বাজারে পাটপণ্যের চাহিদা নামমাত্র। আবার পুঁজি কম হওয়ার কারণে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্র থেকেও বেশ দূরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্ত পরিবেশসম্মত এসব পাটজাত পণ্যের বিদেশে চাহিদা ব্যাপক। দিনদিন এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলছে।
ইসরাত জানান, তাদের ব্যবসা অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু হয়। তবে তাদের সবচেয়ে বড় মূলধন মানসম্মত পণ্য। কিন্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের অনেকেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছেন না।
পাট শিল্পের প্রতি সরকারের বিশেষ দৃষ্টি প্রয়োজন বলে মনে করেন এই নারী উদ্যোক্তা।
স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী জামানত বিহীন ঋণ সুবিদা নিশ্চিত করতে হবে, বলেন তিনি। সেইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এসব পাটজাত পণ্য ব্যবসায়ীদের জন্য বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে সরকারি সুযোগ-সুবিদা দিয়ে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা উচিত।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩২ সালে মধ্যে তার টার্নওভার ৩০ কোটিতে পৌঁছাবে, ১ হাজারের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে তার কারখানাতে।
দেশে পাটের বহুমুখী পণ্য বিশ্বে পরিচিত করতে চান ইসমাত
জারমাটজ লিমিটেডের কর্ণধার
পাটের বহুমুখী পণ্য আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন ইসমাত জেরিন খান। তার প্রতিষ্ঠান জারমাটজ লিমিটেডের উৎপাদিত পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ উইকানেক্ট ইন্টারন্যাশনাল থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
২০১৯ সালে জাতীয় শিল্পমেলায় হস্ত ও কারুশিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি কারখানা তৈরি করতে জায়গা পেয়েছেন ধামরাইয়ে বিসিক শিল্প নগরীতে।
তার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী তাই ইসমাত জেরিন খানও চেয়েছেন বাবার মতো ব্যাবসায়ী হতে। তাই এমবিএ করা ইসমাত সাংবাদিকতার দীর্ঘ ক্যারিয়ার ছেড়ে ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করছেন। ২০১৩ সালে আমেরিকা সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া, উদ্যোক্তা ও ব্যবসা সমন্ধে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
২০১০ সালে তিনি মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পাটের বহুমুখী পণ্য তৈরি করা শুরু করলেও, ট্রেডলেইসেন্সসহ ব্যবসায়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাজ শুরু করেন ২০১৪ সালে।
ইসমাত জেরিন খান বলেন, ছোট ছোট কাজ করে আজ এই পর্যন্ত এসেছেন তিনি। "এখন দেশের মার্কেটে আমার পণ্যের একটা ভাল চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১৯ সালে পাটের বহুমুখী পণ্য বিক্রয়ের জন্য একটি শোরুম দিয়েছি রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজাতে। এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে একজন পার্টনারের সঙ্গে সম্প্রতি আর একটি শোরুম দিয়েছি।"
তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যর মধ্যে রয়েছে পাটের শাড়ি, টেবিল ম্যাট, শতরঞ্জি, বাস্কেট, ল্যাপটপ ব্যাগ, হোম ডেকোরেট পণ্য সহ বিভিন্ন পণ্য। এসব পণ্য নিয়ে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন ডিআইটিএফ, জেডিপিসি, এসএমই, বিসিক মেলায় । দেশের বাইরে ২০১৬ সালে চীন ও ২০১৮ সালে জার্মানিতে মেলায় অংশ নিয়ে বায়ারদের কাছে পেয়েছেন রপ্তানি আদেশ।
সম্প্রতি উইকানেক্ট ইন্টারন্যাশনাল থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়ে ইসমাত বলেন, "ওরা আমাদের পণ্য দেখে পছন্দ করলো। তারা আমাদের সেলস ভলিউম দেখেছে। যে পণ্য নিয়ে কাজ করি তার ডিটেইল নিয়েছে। পণ্য কিভাবে প্রডাকশন হচ্ছে, এর কাঁচামাল কোন যায়গা থেকে আসছে, কারা উৎপাদন করছে। সব কিছু দেখে সন্তুষ্টি হয়ে সার্টিফিকেট দিয়েছে।"
"এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। কারণ তাদের সঙ্গে অনেক অনেক ক্রেতার যোগাযোগ আছে। ইতোমধ্যেই ওদের রেফারেন্সে বেশ কিছু ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বায়ারে সঙ্গে কাজ করছি।"
পাটের পণ্য নিয়ে কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার কাছে মনে হয়েছে এমন কিছু পণ্য নিয়ে কাজ করবো যেটা পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না পাশাপাশি ভ্যালু এড করা যাবে, কর্মসংস্থানও হবে। গ্রামীণ নারীদের সহায়তা করতে পারবো। সেক্ষেত্রে পাট হলো সব চেয়ে উত্তম।'
দেশে পাটের বহুমুখী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে জানিয়েছে তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে লোকার মার্কেটে পাটের বহুমুখী পণ্যের বড় চাহিদা আছে। তারা বাসা বা গৃহসজ্জায় এ পণ্য ব্যবহার করে। মেলা যখন আমরা অংশ নেই তখন ক্রেতারা বলে আমারা সারা বছর এ পণ্য কোথায় পাবো।
জারমাটজ লিমিটেডের করপোরেট অফিস রাজধানীর বাংলামোট। ধামরাইয়ে বিসিক শিল্প নগরীতে দ্রুতই কারখানা গড়ে তুলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, "আমার প্রধান ইচ্ছে বাংলাদেশের পণ্যকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করা। বিশেষ করে পাটজাত পণ্য এবং হাতে তৈরি পণ্য। সেই সঙ্গে গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।"
"বাংলাদেশ সরকার চাচ্ছে পাট সেক্টরকে এগিয়ে নিতে। আমাদের এখন ডিজাইনার সংকট রয়েছে। সরকারের প্রয়োজন এ খাতে ডিজাইনার তৈরি করে এ সংকট দূর করা। তাহলে আমরা নিত্য নতুন ডিজাইনের পণ্য নিয়ে বিদেশি মেলায় অংশ নিতে পারবো। পাটের বহুমুখী পণ্যের দ্রুত প্রসার করতে পারবো।"
স্বল্প বিনিয়োগ থেকে আফসানার টার্নওভার ২০ লাখ ডলার
আসিক্সের কর্ণধার
আসিক্সের ম্যানেজিং পার্টনার আফসানা আসিফ সোমার জন্ম ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বেশ কয়েক বছর শিক্ষকতা করেছেন।
তবে বরাবরই তার ঝোঁক ছিল ব্যবসার দিকে। শুরুর দিকে পুঁজি না থাকায় নিজের কানের দুল পুরান ঢাকার তাতিঁ বাজারে ১৫ হাজার টাকা বন্ধক দিয়ে ২ জন শ্রমিক নিয়ে ডিজাইনিংয়ের ছোট্ট একটি ওয়ার্কশপ গড়ে তোলেন। ২০১০ সালে সামান্য কিছু পুঁজি নিয়ে আফসানা সোমা বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন।
বর্তমানে তার পাটজাত পণ্য কারখানা প্রায় ৩০০ জন কাজ করে। বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যে সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন আউটস্ট্যান্ডিং বিজনেস উইমেন অ্যাওয়ার্ড।
আফসানা সোমা টিবিএসকে বলেন, "আমার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ পর্যায়ে, তখন পরিবার আমার ক্যারিয়ার নিয়ে টেনশন শুরু করে। কিন্ত যখন আমি সবাইকে বলি ব্যবসা করবো, চাকরি করবো না; তখন আরও টেনশনে পড়ে যায়। এর কারণ তখন তো আমার কাছে ব্যবসা করার মতো পুঁজি ছিল না। তখন ব্যবসার জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে কানের দুল বিক্রি করে দিই। এই দুল রাখা ছিল মূলত আমার বিয়ের জন্য।"
আফসানা সোমা বেশ কয়েক বছর চট্টগ্রামের সানসাইন গ্রামার স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। সে সময় তিনি মেয়েদের নানারকম জামা ও শাড়ি ডিজাইনের জন্য চট্টগ্রামে একটি ওয়ার্কশপও গড়ে তুলেন।
তার হাতে করা জিজাইনের কাপড় তার শিক্ষার্থীরা খুবই পছন্দ করা শুরু করলো। এভাবেই একসময় ব্যাপক সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ডিজাইনার হিসেবে। সে সময় পরিবারের সঙ্গে আবার তাকে ঢাকায় চলে আসতে হয়। ঢাকায় এসেও রাজধানীর স্কলাস্টিকায় বেশ কিছু দিন শিক্ষকতা করেন আফসানা সোমা।
পাটজাত পণ্য নিয়ে আফসানা সোমা টিবিএসকে বলেন, এক সময় চিন্তা আসে আমাদের দেশীয় ঐহিত্যবাহী পাটজাত পণ্যকে নিয়ে বহুমুখী ডিজাইনের কিছু করা যায় কিনা।
"তখনই আমি এ খাত নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা শুরু করি। দেখলাম আমাদের পাটজাত মার্কেট সম্পূর্ণ না, এখানে টার্গেট মার্কেটের জন্য ডিজাইনার নেই বললেই চলে, যত বড় মার্কেট সাইজ তার জন্য আরও অনেক বেশি সংখ্যক ডিজাইনার প্রয়োজন,যা এখনও নেই" বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "তখন থেকেই আমি পাটজাত পণ্যের নতুন নতুন ডিজাইন শুরু করি। তখন আমি দুটি ছেলে নিয়ে কারখানার কাজ শুরু করি। ধানমন্ডিতে একটি প্রদর্শনী করি। একটা সময় পাটের জুতাও বানাতে শুরু করলাম। বর্তমানে আমি ভুট্টা পাতা,তালের আঁশ, কচুরি ফেনা ইত্যাদি পাটের আশেঁর সাথে মিশ্রণ করেও নতুন নতুন বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করছি।"
নতুন নতুন ডিজাইনের পাটের তৈরি পণ্যের উদ্ভাবক তিনি নিজেই। হোম এপ্লায়েন্স, পেট একসেসোরিজ, ব্যাগ, জুতাসহ ৯ থেকে ১০ ধরনের পাটের পণ্য তৈরি করেন তিনি। এসব পণ্য এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে জাপান, কানাডা এবং ইউরোপের দেশগুলোতেও রপ্তানি হয়।
ফ্যাশন ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকা সোনালী আঁশ নিয়ে কাজ করা আফসানা সোনা বলেন, পাটজাত পণ্য শতভাগ পরিবেশবান্ধব, বর্তমানে দেশে-বিদেশে এসব পণ্যের চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে।
"তাই আমার আশা, আগামী ১০ বছর আমার কারখানায় যেন ৫০-৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি এবং বার্ষিক টার্নওভার যেন অন্তন ১০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব স্বপ্ন একদিন বাস্তবে রূপ নিবে বলে বিশ্বাস করি।"