ভোক্তা, কৃষক উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা উচিত: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোক্তা ও কৃষক উভয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা উচিত।
তিনি বলেন, দাম একেবারে কমে গেলে কৃষকরা টিকতে পারবেন না। তখন তারা পেঁয়াজ উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন।
'আমাদেরকে এমন একটা দামে যেতে হবে যেখানে কৃষকরাও পেঁয়াজের দাম পায় এবং ভোক্তারাও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজ পায়। কারণ আমাদেরকে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে,' বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা-সংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবের বরাত দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষক-পর্যায়ে খরচ হয় ২০ থেকে ২১ টাকা। স্থানভেদে এ খরচ এরচেয়ে বেশিও হয়।
তিনি বলেন, 'সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা যদি কৃষক-পর্যায়ে দাম হয়, তাহলে সেটি খুচরা পর্যায়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে। এই দামে পেঁয়াজ খাওয়ার ক্ষমতা ভোক্তাদের আছে।'
টিপু মুনশি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।
পেঁয়াজ নিয়ে কোন ভয়ের কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
'পেঁয়াজের বাজার এখনও ঠিক আছে, সরকারও সতর্ক রয়েছে। যদি দেখি বাজার খুব বেশি বাড়ছে, তাহলে কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি (আইপি) অনুমোদন দেওয়ামাত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে,' বলেন তিনি।
আজকের (১৮ মে) ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইএম সফিকুজ্জামানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।