আফগানিস্তানের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা, শতাধিক হতাহত
আফগানিস্তানের উত্তরপশ্চিমের কুন্দুজ শহরে জুম্মার নামাজের জামাতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে শতাধিক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের একটি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আজ শুক্রবারের হামলাটিই ছিল সবচেয়ে ভরাবহ। এজন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস-কে (খোরাসন) সন্দেহ করা হচ্ছে।
আত্মঘাতী হামলাকারী কুন্দুজের গোজার-ই- সায়েদ আবাদ মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর সেখানে ধারণকৃত ভিডিওতে ধবংসস্তূপ ও মানব শরীরের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মসজিদটি আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের।
এদিকে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের এক টুইট বার্তায় বলা হয়, "প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে আমরা মসজিদের ভেতরে কমপক্ষে ১০০ জনের বেশি বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।"
এ হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আত্মঘাতী হামলা জোরদার করেছে আইএস-কে জঙ্গিরা। কিছুদিন আগে কাবুলের একটি মসজিদেও হামলা করা তারা।
আইএস- শিয়া মুসলিমদের বিধর্মী হিসেবে বিবেচনা করা ও তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যমকে কুন্দুজের উপ-পুলিশ প্রধান দোস্ত মোহাম্মদ ওবায়দা বলেন, "হামলায় শতাধিক ব্যক্তির হতাহতের ঘটনা জানতে পেরেছি, তাদের বেশিরভাগই মৃত।"
তিনি আরও বলেন, "আমি আমাদের শিয়া ভাইদের নিশ্চিত করতে চাই যে, তালেবান সরকার আপনাদের নিরাপত্তা দেবে।" এব্যাপারে তদন্ত শুরু করার কথাও জানান তিনি।
তবে নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হওয়ার কথা জানান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইট বার্তায় বলেন, "আজ বিকেলে আমাদের শিয়া ভাইদের এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে আমাদের অনেক ভাই আহত ও শহিদ হয়েছেন।"
স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে স্থানীয় বার্তাসংস্থা- তোলো নিউজ জানিয়েছে, হামলার সময় মসজিদে ৩০০ জনের বেশি মুসল্লি নামাজ পড়ছিলেন।