আরও কয়েক মাস ক্ষমতায় থাকছেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেল
জার্মানির মধ্য বামপন্থি দল সোশ্যাল ডেমোক্রেট ও বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের দল উভয়ই এবারের মেয়াদে সরকার গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও বলা হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অফ জার্মানি বা সিডিইউর জন্য এই নির্বাচনটি ছিল তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে নির্বাচন।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি এখনো, তবে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি) সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে। সব মিলিয়ে ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশটির শাসনভার কার হাতে যাবে তা নিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে জোট সরকার গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত শাসনভার থাকছে মের্কেলের হাতেই।
অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের উত্তরসুরি হিসেবে চ্যান্সেলর পদের জন্য যে তিনজন লড়ছেন, তাদের মধ্যে এসপিডি দলের প্রার্থী ওলাশ শলৎজই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। তিনি জিতে গেলেও তাকে আরও দুটি দলের সমর্থন পেতে হবে জোট সরকার গঠনের জন্য। পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি থেকে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন আনালেনা বেয়ারবক।
রোববার রাতে প্রকাশিত সাময়িক ফলাফল অনুযায়ী, ভোটের ২৫.৮ শতাংশ পেয়ে এগিয়ে তার দল এসপিডি। ২৪.১ শতাংশ ভোট পেয়েছে অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সিডিইউ ও তার শরীক দল।
সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে ১৪.৬ শতাংশ ভোট পাওয়া গ্রিনস এবং ১১.৫ শতাংশ ভোট পাওয়া এফডিপি দলের হাতে।
দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসাথে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে।
তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দুটিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ।
সব মিলিয়ে জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল।
তবে এটা পরিষ্কার যে একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল।
-
সূত্র: ডেইলি মেইল