ইলন মাস্কের বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশে শীর্ষ জার্মান পত্রিকার সম্পাদকের পদত্যাগ
ডি ভেল্ট পত্রিকার মতামত পাতায় ইলন মাস্কের প্রবন্ধ প্রকাশ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে পদত্যাগ করেছেন পত্রিকার মতামত সম্পাদক ইভা মারি কোগেল।
ইলন মাস্ক তার প্রবন্ধে অভিবাসনবিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) পক্ষে অবস্থান নিয়ে লেখার পর থেকেই চারদিক থেকে এনিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়, যার জেরে ইভা মারি পদত্যাগ করেন।
ইভা মারি কোগেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, 'আমি সবসময় ভেল্ট এবং ভেল্ট আম সোনটাগ-এর মতামত বিভাগে কাজ উপভোগ করেছি। কিন্তু কালকের সংখ্যায় ইলন মাস্কের লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই।'
স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ক তার প্রবন্ধে এএফডিকে 'জার্মানির শেষ আশার আলো' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই দলটির 'বাস্তবসম্মত' নীতি দেশটিকে পুনরুজ্জীবিত করবে। তিনি জার্মানির অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে 'জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন' বলেও অভিহিত করেছেন।
মাস্ক লিখেছেন, 'প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো জার্মানিকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাদের নীতির কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, সামাজিক অস্থিরতা এবং জাতীয় পরিচয়ের ক্ষতি হয়েছে।'
এএফডি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'যদিও দলটি ডানপন্থি, তবে এটি বাস্তবধর্মী রাজনীতির প্রতিফলন।'
ডি ভেল্টে মাস্কের প্রবন্ধ প্রকাশের পর কর্মীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই এটিকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত আগাম সংসদীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখেছেন।
ডি ভেল্টের সিনিয়র রিপোর্টার জান ফিলিপ বার্গার্ড মাস্কের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে একটি প্রবন্ধে বলেছেন, এএফডিকে সমর্থন করা একটি 'বড় ভুল'। তিনি দলটিকে 'চরম-ডানপন্থি' না বলার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন।
অন্যদিকে, ডি ভেল্টের আরেক সাংবাদিক ফ্রানজিসকা জিমারার বলেছেন, মাস্কের লেখা প্রবন্ধটি প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল না। তিনি লিখেছেন, 'নির্বাচনের প্রচারণা, যে দলই হোক, স্বাধীন গণমাধ্যমে স্থান পাওয়া উচিত নয়।'
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এএফডি অভিবাসন আইন কঠোর করা, সংগঠিত অপরাধ এবং ইসলামি উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। দলটি সম্প্রতি তুরিঙ্গিয়ায় প্রথম আঞ্চলিক নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।