আরও চার কুয়েতি নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য এমডি শহীদ ইসলাম ওরফে কাজি পাপুলকে মুদ্রা ও মানবপাচারের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগে আরও চার কুয়েতি নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন দেশটির সরকারি তদন্তকারীরা।
তদন্তের আওতায় থাকা চার কুয়েতির মধ্যে দুই জন দেশটির সরকারি কর্মচারী। এরা কুয়েতের মানব সম্পদ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা। এছাড়াও, বাকি দুইজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন কর্নেল এবং অপরজন একটি বেসরকারি কোম্পানির মালিক।
স্থানীয় দৈনিক আরব টাইমস সূত্রে এ সম্পর্কে জানা গেছে।
গত শুক্রবার (১৯ জুন) নাগাদ পাপুলের সহযোগী হিসাবে তদন্তের আওতায় আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা ৯ জনে উন্নীত হয়। তদন্ত চলমান থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই কেসের অনুসন্ধানে নতুন নতুন তথ্য-প্রমাণ পাচ্ছেন কুয়েতি তদন্তকারীরা। এর মাধ্যমে যেসব ব্যক্তি পাপুলের সঙ্গে মুদ্রা ও মানব পাচারে সহায়তা করেছেন তাদের শণাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানানো হয়, কুয়েতের যেসব কর্মকর্তা পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ এবং উপঢৌকন গ্রহণের মাধ্যমে তার ব্যবসায় সহযোগীতা করেছেন, তাদের সকলকে গ্রেপ্তার করে তদন্তের আওতায় আনা হবে।
ইতোপূর্বে, গত ৭ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজি শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করেন কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা।
এদিন তাকে স্থানীয় মাশরিফ আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে পাপুলকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১০ জুন নাগাদ এ আদালত মোট তিনবার তার জামিনের আবেদন নাকচ করেছে।
কুয়েতের আদালতে এখন পর্যন্ত ১১ জন অভিবাসী শ্রমিক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কুয়েত সিআইডি জেরা করে জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।