এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুখের ওপর চপেটাঘাত’: খামেনি
ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটিতে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুখের ওপর চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্যের ভূমি ছাড়তে হবে। খবর আল-জাজিরার।
বুধবার ভোররাতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে ইরবিল ও আইন আল আসাদে অন্তত দুটি মার্কিন স্থাপনা লক্ষ্য করে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরান। তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৮০ ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে ইরানের দাবি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় দাবি করেছেন, সবকিছুই ‘ঠিকঠাক’ আছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের প্রভাবশালী সেনা কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। সোলেইমানি হত্যার পর ইরানের ধর্মীয় গুরু আয়াতুল্লাহ আল খামেনির নেতৃত্বে ‘কঠোর প্রতিশোধের’ শপথ করেছিল ইরানি জনতা।
ইরানের পাল্টা হামলার পর বুধবার রাজধানী তেহরানে বিশাল এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন, “গতরাতে আমরা ওদের মুখের ওপর চপেটাঘাত করেছি”।
তিনি বলেন, ইরানী বাহিনী যে প্রতিশোধ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়।
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, মধ্যপ্রাচ্যের এই ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অবস্থানের ইতি টানতে হবে।”
এর আগে গত তিন দিন দেশের বিভিন্ন শহরে সাধারণ জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গতকাল মঙ্গলবার ইরানের ‘জাতীয় বীর’ কাসেম সোলেইমানিকে তার জন্মশহর কেরমানে দাফন করা হয়।
সোলেইমানির দাফনে লাখো জনতার ভীড়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনা সম্পর্কে ভাষণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেন, “এ ঘটনায় আমি ভীষণভাবে দুঃখিত ও ভারাক্রান্ত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। আমি বিশ্বাস করি, পরপারে নিহতদের আত্মা সোলেইমানির আত্মার সঙ্গে মিলিত হবে।”