কোভিড নিরাময় চিকিৎসায় বিরাট অগ্রগতির দাবি ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের
ইসরায়েলের হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ঔষধ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। উচ্ছ্বাসের সাথে তারা এটিকে 'বিরাট অগ্রগতি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিবের ইচিলভ মেডিকেল সেন্টারে এই EXO-CD24 নামক এই প্রতিষেধকটি প্রস্তুত করা হয়েছে। গত শুক্রবারে এটি সাফল্যের সাথে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও উতরে গেছে।
এ হাসপাতালের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৩০ জন রোগীকে এই চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, যাদের অবস্থা মাঝারি থেকে তীব্র গুরুতর পর্যায়ের ছিল।
এদের মধ্যে ২৯ জনকেই পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ দিনের ভেতর হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। শুধু একজন রোগী সুস্থ হতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন।
সিডি২৪ হিসাবে পরিচিত একটি প্রোটিনকে এই ড্রাগের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করানো হয় যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হারানো ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং ভাইরাসের পুনরায় আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
অধ্যাপক নাদির আরবার এই EXO-CD24 প্রতিষেধকটি তৈরি করেছেন যা মূলত ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি গ্যাসীয় পদার্থ; নিঃশ্বাসের সাথে প্রতি পাঁচ দিনে একবার গ্রহণ করতে হয়।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে অধ্যাপক আরবার বলেন, "এমনকি যদি ভ্যাকসিনগুলো তাদের কাজ ঠিকমত করে এবং ভাইরাসটির আর কোন নতুন ধরণ না দেখা যায়, তাহলেও করোনাভাইরাস যে আমাদের খুব শীঘ্র ছেড়ে যাচ্ছে, তেমন সম্ভাবনা নেই।"
"এজন্য আমরা এই বিশেষ ওষুধটি তৈরি করেছি। একে হিউম্যান ট্রায়ালের দিকে পরিচালিত করা হবে সে ধারণারও প্রায় অর্ধ বছর হয়ে গেছে"।
ইচিলভ মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক রনি গামজু বলেন যে, ওষুধটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের গবেষণায় অত্যন্ত উন্নত এবং পরিশীলিত ফলাফল প্রদর্শন করেছে। এ থেকে করোনা রোগীদের বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।"
টাইমস অফ ইসরায়েলের সাথে কথা বলার সময়, তিনি জানান, "প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফলগুলি দুর্দান্ত, এবং আরবার তার গবেষণাগারে বহু বছর ধরে যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার উপর আমরা আস্থা আনতে পেরেছি।
প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে কোনও প্লাসেবো ব্যবহার করা হয়নি এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরবর্তী পর্যায়গুলোতেও এ ওষুধের প্রভাব এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা যাচাই অব্যাহত থাকবে।
গতকালই ইসরায়েল ঘোষণা দেয় যে, তারা লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করবে তবে ভ্রমণের জন্য সীমান্ত বন্ধই থাকবে।
- সূত্রঃ ইয়াহু নিউজ