দুই মাস পর সচল হলো ইতালি
টানা দুই মাস অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার পর লকডাউন কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করার প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ৪৫ লাখ ইতালীয় নাগরিক তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন।
করোনাভাইরাসে বড় মাপের ক্ষতির শিকার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই ছিল দেশটি।
জনস হপকিন্স বিশ্ব বিদ্যালয়ের জানায়, ইতালিতে মোট ২৯ হাজার মানুষ চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে মারা গেছেন। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এর চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর এনপিআর।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ইতালিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় গত ৯ মার্চ দেশটির সরকার দেশজুড়ে এক কঠোর অবরোধ ( বা লকডাউন) ঘোষণা করে।
এরপরেই ধীরে ধীরে নতুন সংক্রমণের হার কমে আসার প্রেক্ষিতে ইতালি লকডাউন শিথিলের পথ বেছে নিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল নির্মাণ খাত, পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষ কিছু পণ্য উৎপাদনখাত খুলে দেওয়া হয়।
তবে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ উপদেষ্টা রিচিয়ার্দি সতর্ক করেছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও সচল খাতগুলো বন্ধ করা হবে।
ইতালিতে গতকাল সোমবার নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২২১ জন।
এর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭৯ জনে। আর মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৯৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৭৯ জন।