নাবিকদের প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেন মার্কিন রণতরীর কমান্ডার
মার্কিন নৌবাহিনীর সুবিশাল বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্টে মোট ৭০ জন নাবিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় জাহাজটির কমান্ডার নৌবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি নাবিকদের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
'আমরা এখন যুদ্ধকালীন অবস্থায় নেই। তাই অকারণে নাবিকদের প্রাণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এখনই যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা নিজেদের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ- আমাদের নাবিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হব।' নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের কাছে লেখা এক চিঠিতে থিওডর রুজভেল্টের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার এই আহ্বান জানিয়েছেন।
নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি সিএনএনকে নিশ্চিত করেন।
ক্রোজিয়ার লিখেছেন, 'বর্তমানে রুজভেল্টে অবস্থানরত নাবিকদের মধ্যে জীবাণুটির সংক্রমণ চলছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিমুহূর্তেই বাড়ছে। এই অবস্থায় আমি শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করতে বাধ্য হচ্ছি।'
'যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে থাকা একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে সকল নাবিক সরিয়ে নিয়ে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখাটা একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ বটে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এমনটা করা হলে শিগগির সুস্থ হয়ে নাবিক, নৌসেনা এবং বিমান চালকেরা তাদের দায়িত্বে পুনরায় যোগ দিতে পারবেন। বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার তরুণ নারী-পুরুষ থিওডর রুজভেল্টে অবস্থান করছেন। এদের প্রাণরক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।' এভাবেই প্রথম কোনো মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর অধিনায়ক হিসেবে প্রথা ভেঙ্গে নিজ নাবিকদের প্রাণরক্ষার তাগিদ দিলেন ব্রেট ক্রোজিয়ার।
এদিকে চিঠি প্রকাশের পরেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের প্রধান অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো, থিওডর রুজভেল্টে থাকা কোনো নাবিককে এখনো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিশ্চিত করেননি।
দুই সপ্তাহ আগে ইউএসএস থিওডর রুজভেল্টে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। জাহাজটি বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন ঘাঁটি গুয়ামের একটি বন্দরে অবস্থান করছে।